Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নতুন শিক্ষাক্রমের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ২০২৫ সালে

নতুন শিক্ষাক্রম ২০২৫ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। রাজধানীর কাকরাইলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সংর্বধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী জানান, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিকে ১০০টি আর মাধ্যমিকে ১০০টি প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং শুরু হচ্ছে। এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ চলছে, টিচার্স গাইড তৈরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সাল থেকে এ কার্যক্রম সারা দেশে নিয়ে যাব। এরপর আমরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করব। এরপর ২০২৫ সালে সারা দেশে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হবে। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে। পঞ্চম শ্রেণি সাময়িকী পিইসি, অষ্টম শ্রেণি সাময়িকী জেএসসি নামে পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করা হবে। পাশাপাশি নবম ও দশম শ্রেণিতে মানবিক, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা নামে বিভাগ তুলে দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নবম-দশম শ্রেণিতে যে বিভাজনটি থাকে বিভিন্ন গ্রুপে মানবিক, বিজ্ঞান বা ব্যবসা সেটি আর থাকবে না। এই দুই ক্লাসে বাধ্যতামূলকভাবে কারিগরির একটি ট্রেড তারা শিখবে এবং দক্ষতা তারা অর্জন করবে। তিনি জানান, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচির পর প্রতিবছর একটি করে পরীক্ষা হবে। এই দুই শ্রেণির ফলাফলের সমান্বয়ে চূড়ান্ত ফলাফল দেয়া হবে। অর্থাৎ একাদশের পরে একটি পরীক্ষা হবে আর দ্বাদশের পরে আরেকটি পরীক্ষা হবে। দুটির ফল মিলিয়ে এইচএসসির ফল হবে। মন্ত্রী বলেন, ক্লাস নাইন ও টেনে আলাদা বই হবে। থাকছে না আলাদা আলাদা বিভাগ। যে ১০টি সাবজেক্ট আছে সবাই সেগুলো পড়বে। দীপু মনি বলেন, আমরা ৫ম বা ৮ম শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষার কথা বলিনি। তবে সেগুলোতে ক্লাস সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেই মূল্যায়ন হবে। আমরা বিভিন্ন স্তরে মূল্যায়নের ভিত্তিতে যেখানে যেখানে সনদ দেয়া প্রয়োজন দেব। প্রত্যেক ক্লাসেই সমাপনী থাকবে। শুধু ক্লাস থ্রি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ ছাড়া, সব ক্লাসেই সমাপনী পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে কিছুটা ধারাবাহিক মূল্যায়ন কিছুটা সামষ্টিক মূল্যায়ন। ছয় মাস পাইলটিংয়ের পরে বিশ্লেষণ করে ২০২৩ সাল থেকে আশা করছি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে পারব। সেক্ষেত্রে ২০২৩ সালে প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এটি চালু হবে আর মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে চালু হবে। আর পাইলটিং যেটি আগামী বছর করব সেটি হবে প্রাথমিকে ১ম শ্রেণি ও মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালে ৪র্থ-৫ম শ্রেণি আর ৮ম-৯ম শ্রেণি হবে। ২০২৫ সালে এদিকে ৫ম ও ওদিকে ১০ম শ্রেণি অর্থাৎ ইম্প্রিমেন্টেশনটা হয়ে যাবে। এটি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সব করা হচ্ছে।
http://dlvr.it/SFcDgg

Post a Comment

0 Comments