Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কনের জন্য সোনার আংটি না আনায় বরকে বেঁধে মারধর

ফরিদপুরে কনের জন্য সোনার আংটি না আনায় মারধরের শিকার হয়েছে বরপক্ষ। এতে বরপক্ষের সাত ও কনেপক্ষের দুইজন সহ মোট ৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নগরকান্দা উপজেলার ফুলসূতি ইউনিয়নের হিয়াবলদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ২৫ দিন আগে হিয়াবলদী গ্রামের শামিল শেখের কলেজে পড়া মেয়ে স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে শাহজাহান শেখের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বর্ণাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আয়োজন ছিল। এ উপলক্ষে দুপুর আড়াইটার দিকে ৫০ জনের একটি বরযাত্রী দল কনেপক্ষের বাড়িতে আসে। শুরু হয় খাওয়া-দাওয়া। অন্যদিকে কনেকে বিয়ের সাজে সাজানোর প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের কাছে স্বর্ণের আংটি চায়। কিন্তু বরপক্ষ স্বর্ণের আংটি না দিয়ে একটি ইমিটেশনের আংটি দেয়। ফুলসূতি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, সোনার পরিবর্তে ইমিটেশনের আংটি দেয়ায় বর ও কনে পক্ষ বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে বর শাহজাহান শেখকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে কনেপক্ষের লোকজন। এ ঘটনার পর ফুলসূতি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য হাফিজুল মাতুব্বর এসে বরপক্ষকে সমঝোতার প্রস্তাব দিলে তাকে মারধর করে বরপক্ষ। এরপরই শুরু হয়ে যায় হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা। কনের মা সেলিনা বেগম বলেন, বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে ছেলেপক্ষ আমাদের কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। আমাদের দিতে দেরি হওয়ায় তারা বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছিল। এ ছাড়া মোবাইল ফোনে আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে তার বর। তা ছাড়া ছেলেটি (বর) মাদকাসক্ত, যা আমরা বিয়ের পরে টের পেয়েছি। আহত বর শাহজাহান শেখ বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে অপর এক পুরুষের একটি ছবি দেখি। এ জন্য মেয়েটিকে আমার ভাল চরিত্রের মনে হয়নি। এ ছাড়া আমার দুলাভাইয়ের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছে মেয়েপক্ষ। এ জন্য এ বিয়ে থেকে আমার মন উঠে গিয়েছিল। তারপরও আমরা বিয়ের উদ্দেশ্যেই তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে সহ আমার সঙ্গের লোকদের পিটিয়েছে। এরপর আর এই সামাজিক সম্পর্ক টিকতে পারে না। আমরা এখন বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি ভাবছি। ফুলসূতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, একটি তুচ্ছ বিষয় থেকে শুরু হয়ে ঘটনাটি এখন বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়িয়েছে। গতকালই ওই বাড়িতে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কাজি ডাকা হয়েছে বলে শুনেছি। নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় চৌধুরী জানান, ওই ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ জন। আর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪ জন। চিকিৎসাধীন ওই চারজন হলেন- শাহ আলম মাতুব্বর, সাগরিকা বেগম, মিলন মোল্লা ও লালন। নগরকান্দা থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত দেখতে পায়। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
http://dlvr.it/SWZ3Kl

Post a Comment

0 Comments