কক্সবাজারের চকরিয়া ও নোয়াখালীর হাতিয়ায় ৯৯৯-এ কল দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের তালা খোলানো হয়েছে।
শনিবার রাত ৩টার দিকে কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা চকরিয়ায় বাতাসের গতি বাড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কোনাখালীর বাসিন্দা মো. আবুল হোসেন।
এ পরিস্থিতিতে তিনি পরিবার নিয়ে কোনাখালী ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ফুলছড়ি আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখেন কেন্দ্রটি বন্ধ।
এরপর উপায় না দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের তালা খোলার ব্যবস্থা করেন।
আবুল হোসেন জানান, আশ্রয়কেন্দ্রটি বন্ধ ছিল। ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে তালা খুলে দেয়।
গত রাতে নোয়াখালীর হাতিয়াতেও একই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় মো. বাবুল উদ্দিন নামের এক তরুণ রাত ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানান, হাতিয়া ড্রিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ। অনেকে আশ্রয় নিতে এসে ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ কলটি পেয়ে স্থানীয় থানার সঙ্গে বাবুলের কথা বলিয়ে দেন।
পরে স্থানীয় থানা-পুলিশ গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের তালা খোলার ব্যবস্থা করেন।
বাবুল উদ্দিন বলেন, হাতিয়া অত্যন্ত দূর্যোগপূর্ণ এলাকা। এখানে যে কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ ভয়াবহ রূপ নেয়। সে জন্য মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আশ্রয়কেন্দ্রটি তালা দিয়ে রেখেছিল। তাই আমি ৯৯৯-এ কথা বলেছি।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ গত শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার তথ্য জানতে কয়েক লাখ কল এসেছে, তবে মোখা সংক্রান্ত সরাসরি সহায়তার জন্য শুক্রবার থেকে রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩৯ জন কল দিয়েছেন। এদের বেশিরভাগই আশ্রয়কেন্দ্রের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য জানতে অনেক কল আসছে। আমরা সবাইকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি।
http://dlvr.it/Sp1BZR
0 Comments