গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট শেষে শুরু হয়েছে গণনা। তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি এই নির্বাচন ঘিরে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় সিটিতে ভোট শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপরই শুরু হয় গণনা।
নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি এই ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খান, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুনসহ অন্য প্রার্থীরা।
ভোট হয়েছে ইলেকট্রনিক মেশিনে (ইভিএম)। ভোট গ্রহণ শুরু থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের পঞ্চম তলাযয় কন্ট্রোল রুম থেকে নির্বাচন মনিটরিং করা হয়েছে।
কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে ঢুকে পড়ায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। নির্বাচন কমিশন থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখে খবর দেয়া হলে তাদের আকট করা হয়।
সকালে ভোট দিয়ে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খান।
ভোট শুরুর ৪০ মিনিট পর নিজ বাড়ির পাশে দারুস সালাম মাদ্রাসার ৩ নম্বর ভোটকক্ষে ভোট দেন তিনি। এ সময় ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এ প্রার্থী।
সকালে গাজীপুরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন টেবিল ঘড়ি মার্কার প্রার্থী জায়েদা খাতুন। তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। ভোটকেন্দ্রগুলোর পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে ৷ এসব নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।
জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমও ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের দুপুরে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত যে পরিস্থিতি শৃঙ্খলার সঙ্গেই ভোট হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নিজস্ব পর্যবেক্ষকরা যে রিপোর্ট আড়াই ঘণ্টায় পাঠিয়েছে তাতে ভালোভাবেই ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
পরে সিটি করপোরেশনের ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭০টি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক টিমের সভাপতি নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, তারা কোনো অঘটনের খবর পাননি।
এই সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আট জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আজমত ও স্বতন্ত্র জায়েদা ছাড়াও লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এমএম নিয়াজ উদ্দিন, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ, স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতীকে মো. হারুন-অর-রশীদ ও হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন।
http://dlvr.it/Spbc5r
0 Comments