চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৩৪ জন কর্মচারী আমরণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপাচার্যের অফিস কক্ষের সামনে ফ্লোরে তারা অবস্থান নেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনকারীরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে প্লাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
সিকিউরিটি গার্ড মোহাম্মদ আলী ও কাজী নাদিমুজ্জামান জানান, বুধবার তারা উপাচার্যের সাথে দেখা করার জন্য তার পিএস এর কক্ষে প্রবেশ করলে কর্মচারী সমিতির সভাপতি তাদেরকে হুমকি দিতে থাকেন। ওই সময় তিনি তাদের একজনকে মারধর করেন এবং উত্তেজিত হয়ে বেরিয়ে যান। তখন তারা আতংকিত হয়ে গেট লাগিয়ে দেন। এরপর কর্মচারী সমিতির সভাপতি লোকজন নিয়ে এসে গেটের তালা ভাঙার চেষ্টা করেন এবং পরে গেট ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন।
তারা আরও জানান, বুধবার দুপুর আড়াইটার সময় উপাচার্য তাদের সাথে কোনো কথাবার্তা না বলে বের হয়ে যাওয়ার সময় মোহাম্মদ আলীকে চড় মারেন। বুধবার তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলেন। তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে তারা আমরণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আমরণ অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলেও জানান।
বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের মেয়াদে বিভিন্ন কাজের জন্য দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫২ কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। এরমধ্যে ১৮ জনকে স্থায়ীকরণ করা হয়। চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বাকি ১৩৪ জন কর্মচারী নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের চাকরি স্থায়ীকরণে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু বর্তমান ভিসির মেয়াদ ২ বছর ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও মাত্র ১৮ জনের চাকরি স্থায়ীকরণ হওয়ায় অন্যরা পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
http://dlvr.it/SpDF4g
0 Comments