Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নিখোঁজ টাইটান আর পাওয়া যায় কি না, তা নিয়েই সংশয়

ক্রমেই ফুরিয়ে আসছে অক্সিজেন, প্রাণের আশাও ফুরাচ্ছে। এখন সংশ দেখা দিয়েছে, আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে নিখোঁজ টাইটানের আর খোঁজ মিলবে কি না, তা নিয়েই। দর্শনার্থী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে যাওয়া এই সাবমেরিন এতই ছোট যে, সোনার প্রযুক্তি হয়তো এটি খুঁজতে কোনো কাজেই দেবে না। বিবিসির প্রতিবেদক এ নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাজ্যের জাতীয় মেরু গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের গবেষক ডক্টর রব লার্টারর সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন এ শঙ্কার কথা। সাউন্ড নেভিগেশন অ্যান্ড রেঞ্জিংকে সংক্ষেপে সোনার বলা হয়। এ পদ্ধতিতে পানির নিচের কোনো কিছু শনাক্ত করতে শব্দ সংকেত ব্যবহার করা হয়। রব লার্টার এখনও আশাবাদী টাইটানের ফিরে আসার ব্যাপারে। তিনি বলেন, যদিও এটি একটি মরিয়া পরিস্থিতি, আশা আছে এবং আপনাকে যতদিন সম্ভব আশাবাদী থাকতে হবে। রব লার্টার বলেন, তবে সোনার পদ্ধতি ব্যবহার করে এই টাইটান খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। সাবমেরিনটি আকারে খুবই ছোট। এই পদ্ধতি কাজে আসবে না। তিনি জানান, টাইটান যে গভীরতায় আছে, সেই গভীরতায় একমাত্র আন্ডারসি রিমোটলি চালিত যান (আরওভি) কাজ করতে সক্ষম। এই যান ভিক্টর ৬০০০ পৌঁছেছে রাতে। এদিকে টাইটানে থাকা আরোহীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে এসেছে, তবে তা যে একেবারে নেই; তা নয় বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর পারমাণবিক সাবমেরিনের সাবেক কমান্ডার ডেভিড মার্কুয়েট। যে পরিমাণ অক্সিজেন এই সাবমেরিনে আছে, তাতে পাঁচ আরোহীর সবমিলিয়ে ৯৬ ঘণ্টা বেঁচে থাকার কথা। সে হিসেবে তাদের বৃহস্পতিবারই অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ার কথা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারি সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক গভীর সমুদ্র সংস্থাগুলো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে। গত ১৮ জুন কানাডার কাছাকাছি এলাকায় যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে ২১ ফুট দীর্ঘ এই জলযানটির সাধারণত দুই ঘণ্টা সময় লাগে। ১৯১২ সালে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা টাইটানিক এক হিমশৈলির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। ওই সময়ের সবচেয়ে বড় এ জাহাজটিতে থাকা ২ হাজার ২০০ যাত্রীর ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মারা যান। এর অনেক বছর পর ১৯৮৫ সালে আটলান্টিকের তলদেশে ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
http://dlvr.it/Sr3h1g

Post a Comment

0 Comments