সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। এগুলোর মধ্যে ১৩২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এসব কেন্দ্রে থাকবে বাড়তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। ভোটকক্ষের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে সিসিক্যামেরা।
নির্বাচন কমিশন ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিমুক্ত কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে। পরে সে অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বলেন, কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কেন্দ্রে নিরাপত্তাবেষ্টনী না থাকা, কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতার শঙ্কা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকা, অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার শঙ্কাসহ নানা দিক। কেন্দ্রগুলোর দূরত্ব বুঝে চারজন, ছয়জন ও সাতজনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী মালামাল পাঠানো শুরু হয়। সকালে নগরের আবুল মাল আব্দুল মুহিত কমপ্লেক্স থেকে সরঞ্জাম বিতরণ শুরু করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, আমরা ভোটের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ১৯০ কেন্দ্রে ১ হাজার ৬০০ এর বেশি সিসিক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচনে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার এবং আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।
বুধবার এ সিটিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। ইভিএমে ভোট দেবেন ভোটাররা।
ভোটের মাঠে মেয়র পদে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিলেটে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান জানান, সোমবার রাত ১২টার পর থেকে সিসিকের ৪২টি ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪২টি দল কাজ করছে।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে, সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষায় এবং বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করেছেন তারা। এ ছাড়া এর বাইরেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আরও ১০টি দল রয়েছে। তাদের মধ্যে ওয়ার্ড ভাগ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি দলের সঙ্গে এক প্লাটুন বিজিবি রয়েছে। ভোটের পরের দিন পর্যন্ত এই দগুলো মাঠে থাকবে।
নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ লাইন্সে সংবাদ সম্মেলন করে সিলেট মহানগর পুলিশ।
এতে জানানো হয়, ভোটের দিন নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে আড়াই হাজার পুলিশ সদস্য। পুলিশের ৫২টি মোবাইল টিম, ১৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ছয়টি রিজার্ভ ফোর্স এবং প্রত্যেক জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন।
http://dlvr.it/SqxlXb
0 Comments