Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

কারাগারে হস্তশিল্প কিংবা ঝাড়ুদারের কাজ করবেন পাপিয়া

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে আওয়ামী যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ শামীমা নূর পাপিয়াকে গাজীপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। কুমিল্লা কারাগারে ঝাড়ু দেয়া কিংবা কাঁথা সেলাইয়ের মতো কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছে কারাগার সূত্র। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। কারাগার সূত্র জানায়, কুমিল্লা কারাগারে মহিলা হাজতিদের জন্য যে কয়টি কাজ আছে, তার মধ্যে ঝাড়ু দেয়া এবং কাঁথা সেলাই কিংবা মোড়া তৈরির মতো হস্তশিল্পের কাজ দেয়া হবে পাপিয়াকে। তবে ছুটিতে থাকায় এখনও নির্দিষ্ট কোনো কাজ তাকে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, শনিবার আমি অফিস করবো। তখন তাকে কী দায়িত্ব দেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। কারাসূত্র জানায়, সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কুমিল্লা কারাগারে আনার পরই পাপিয়াকে কারাগারের নারী ওয়ার্ডে রাখা হয়। কুমিল্লা কারাগারে নারী ওয়ার্ড দুইটি। ছোটটিতে গর্ভবতী ও সন্তানসহ নারী হাজতিদের রাখা হয়। বড়টিতে রাখা হয় বাকি নারী হাজতিদের। সেখানে ২০-৫০ জন কয়েদি থাকেন। এই ওয়ার্ডেই তিনি রাত পার করেন। তার জন্য অন্যদের মত স্বাভাবিক সব খাবার সরবরাহ করা হয়। এ সময় তার আচার-আচরণের ওপর বিশেষ নজরদারি রাখে কারা কর্তৃপক্ষ। ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মফিজুর রহমান ও পাপিয়া দম্পতিকে আটক করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে কাশিমপুর কারাগারে রাইটার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এদিকে নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিস আইনজীবী রুনাকে ১৬ জুন কাশিমপুর কারাগারের মহিলা সেলে নেয়া হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেয়ার পর তার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে সাত হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নিতে পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন করে বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে সালিস বৈঠক বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ বিষয়ে রুনার ছোটভাই গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পাপিয়াকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
http://dlvr.it/Srg9lW

Post a Comment

0 Comments