বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার আবারও নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে পাতানো খেলা খেলতে চায়। আমরা সেই পাতানো খেলা তাদেরকে খেলতে দেব না।
তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রশ্ন। বাংলাদেশের স্বার্ধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে কি না, তার প্রশ্ন। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে টিকে থাকতে পারবো কি না- সেই প্রশ্ন আজকে জাতির সামনে।
রাজশাহীতে তারুণ্যের রোড মার্চ কর্মসূচি শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজশাহী ঈদগাহ মাঠের সামনের রাস্তায় এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
রংপুর থেকে থেকে শনিবার শুরু হওয়া তারুণ্যের রোড মার্চ রোববার শেষ হয়েছে রাজশাহীতে। রোববার সকালে বগুড়া থেকে দ্বিতীয় দিনের রোড মার্চ শুরু হয়। সন্ধ্যার পর রোড মার্চ পৌঁছে রাজশাহীতে। এরপরই রাজশাহী ঈদগাহ মাঠের সামনের রাস্তায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যারা তরুণ, যারা যুবক তাদের ওপর নির্ভর করছে এদেশের ভবিষ্যৎ। এখন আপনাদের দায়িত্ব এসেছে এই দেশকে রক্ষা করবার, গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার। ছাত্রদল, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল যে আন্দোলন শুরু করেছে সেই আন্দলনকে সামনের দিকে পৌঁছে দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাষ্ট্রের যে স্তম্ভগুলো আছে আদালত, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পার্লামেন্ট- সবকিছুকে তারা ধ্বংষ করে দিয়েছে। এই দেশকে তারা সুপরিকল্পিতভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। খালেদা জিয়াকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিনা চিকিৎসায় আটকে রেখেছে।
খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় সব দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।
রাজশাহীর চারঘাটের ওসির ভাইরাল বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই প্রশাসনকে সরকার যে তার নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে, তার একটি নমুনা রাজশাহীর চারঘাটের ওসির বক্তব্য।
ওসি নিজের মুখে বলেছেন, তাকে ভোট করার জন্য এখানে আনা হয়েছে। এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না- এটি তার একটি নমুনা।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি থেকে বক্তব্য দেন বিএরপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা প্রমুখ।
http://dlvr.it/SwDnLC
0 Comments