Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

রোববার সারা দেশে হরতালের ডাক বিএনপির

পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর কাকরাইল ও নয়াপল্টনে। এ সময় বিএনপিকর্মীরা তিনটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করেন এবং পুলিশ বক্সে আগুন দেন।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে নয়াপল্টনে বিএনপির বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেয়া বন্ধ রয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসমাবেশেরস্থল থেকে আগামীকাল রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন। সমাবেশে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের হামলার অভিযোগ এনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শনিবার বেলা ১টার দিকে থেমে থেমে এ সংঘর্ষ শুরু হলেও পরে তা বড় আকার ধারণ করে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেলা দেড়টার দিকে কাকরাইল মোড় থেকে পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। অন্যদিকে বিএনপিকর্মীরাও উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে মিন্টু রোডের কাছাকাছি থাকা যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করলে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। ওই সময় বিএনপিকর্মীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
এ ঘটনার পর স্টেজ থেকে সমাবেশস্থল থেকে সরে যেতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তবে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থল ত্যাগ করলেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতাদের স্টেজে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।
এদিকে কাকরাইল অডিট ভবনের সামনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে বিজিবি।
এর আগে বেলা ১১টায় কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময়ও বেশ কয়েকটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কিছু লোক আহত হয়েছেন।
এদিকে সকাল ১০টা থেকেই রাজধানীর নয়াপল্টন ও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই স্থানেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে।


http://dlvr.it/Sy3zMW

Post a Comment

0 Comments