পাঁচটি মামলায় সোমবার বিএনপির ১১১ নেতা-কর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
ককটেল বিস্ফোরণ, প্রাইভেট কারে অগ্নিসংযোগ, বেআইনি সমাবেশ, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর হামলা ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার মামলায় আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে এ রায় দেয়।
সিএমএম আদালতের বিচারক আতাউল্লাহ ও মোহাম্মদ শেখ সাদী এসব রায় ঘোষণা করেন।
কোন মামলায় কাদের সাজা
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর নামে পুলিশ নিউ মার্কেট থানায় মামলা করে। এ মামলার তদন্তে হাবিব উন-নবী-খান সোহেল, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলালসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। সেই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক আতাউল্লাহ আসামিদের দেড় বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। রায়ে বেআইনি সমাবেশের অপরাধে ১৪ জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অন্যদিকে সমাবেশে পুলিশ সদস্যদের আঘাত করার অপরাধে এক বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ২০১৩ সালের মে মাসে একটি প্রাইভেট কারে অগ্নিসংযোগের মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ সাতজনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শেখ সাদী।
একই আদালত বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলামসহ ১৪ জনকে দুই বছর ছয় মাস করে সাজা দেয়। এর মধ্যে বেআইনি সমাবেশের অপরাধে রফিকুলসহ ১৪ জনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে তাদের প্রত্যেককে দুই বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও সাত মাস কারাভোগের আদেশ দেয় আদালত।
রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে করা মামলায় বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মীকে দুই বছর তিন মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার সিএমএম আদালতের বিচারক আতাউল্লাহ।
রাজধানীর বংশালে ২০১৮ সালে পুলিশের ওপর হামলা ও দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আখতার হামিদ খান পবনসহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের ৬২ নেতা-কর্মীকে সাড়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
http://dlvr.it/Sz4Btn
0 Comments