দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শনিবার থেকে শুরু করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ওই দিন বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি এ মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তেজগাঁওয়ে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কার্যালয় থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর নিজের জন্য দলীয় ফরম সংগ্রহ করবেন তিনি। এর আগে সেখানে দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক হবে।
সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরের দিন বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের বিজ্ঞপ্তিতে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরুর তারিখ জানানো হয়। এর আগে একই দিন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছিলেন, শুক্রবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হবে। যদিও পরে বিজ্ঞপ্তিতে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরুর দিন শনিবার জানানো হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, আগামী ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ঢাকা জেলা অফিসে অনুষ্ঠিত হবে। আর একই সময়ে (কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে) নেত্রীর (শেখ হাসিনা) উদ্বোধনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্রও বিক্রি শুরু হবে। অফিসে প্রত্যেক বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা বুথ করা আছে। প্রধানমন্ত্রীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর সবার জন্য মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমাদান প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। মনোনয়নপত্র বিক্রি ও জমা নিতে সেখানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য দুটি করে এবং বাকি ছয়টি বিভাগের জন্য একটি করে ১০টি বুথ স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি এবারই প্রথম অনলাইনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার প্রক্রিয়াও চালু করছে আওয়ামী লীগ। ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
জাতির উদ্দেশে বুধবার দেয়া ভাষণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীরা আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে।
তফসিল অনুযায়ী, বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থীরা ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বী চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৮ ডিসেম্বর। ওই দিন থেকেই তারা প্রচার শুরু করতে পারবেন, যা চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রচার শুরুর ২০ দিন পর ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।
http://dlvr.it/SyvVvD
0 Comments