চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যমে শাটল ট্রেন। প্রতিদিন প্রায় ১০হাজার শিক্ষার্থী শহর থেকে ক্যাম্পায়সে যাতায়াতের জন্য এ ট্রেন ব্যবহার করেন। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী যাতায়াত করে বলে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।
তবে শুধু শিক্ষার্থী নয়। যাতায়াত নিয়ে ভোগান্তিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। এমন সমস্যায় নতুন এসি বাস ক্রয়ের দাবি জানান তারা।
চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় এ সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির উপস্থাপিত ২৬ দফার একটি দাবি ছিল যাতায়াত সংকট নিরসনে এসি বাস কেনার উদ্যোগ নেয়া।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, আমাদের শিক্ষক সংখ্যা এখন প্রায় ১ হাজারের বেশি। আমরা ৬০০ থেকে ৭০০ শিক্ষক যখন ছিলাম তখন যে গাড়িগুলো ছিল, এখনও সেই গাড়িগুলোই আছে। আমার জানামতে এখন একটি গাড়ি বেড়েছে। এজন্য কখনো ক্যাম্পাসে গাড়ি বন্ধ রেখে শহরে চলাতে হয়, আবার কখনো শহরের গাড়ি বন্ধ রেখে ক্যাম্পাসে চালাতে হয়। জায়গা না পেয়ে অনেক সময় শিক্ষকদের ফিরে যেতে হয়। গত এক বছরে অনেক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, কিন্তু গাড়ি বেড়েছে ১টা। তাই আমাদের গাড়ির সংকট রয়ে গেছে।
এ সময় তিনি ২৬ দফার মধ্যে অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের জন্য শাটল ট্রেনে বগির সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিও উত্থাপন করেন।
রোববার সকালে প্রশাসনিক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে ধরে প্রতিবাদ এবং শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
এ সময় চবি শিক্ষক সমিতি থেকে ২৬ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবি পূরণের জন্য সাত দিনের সময় বেধে দেয়ে সমিতির নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে কার্যনির্বাহী কমিটির ৬ শিক্ষক সহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য জানতে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
http://dlvr.it/SzL2cT
0 Comments