মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কচুরিপানা ফুলের চাদরে ঢেকে আছে খাল, বিল, পুকুর, ডোবা ও জলাশয়গুলো। এসব স্থানে যেখানেই দৃষ্টি যাচ্ছে চারপাশে শুধু কচুরিপানার ফুল। সবুজের মধ্যে সাদা, হালকা গোলাপি আর বেগুনি রঙের এ ফুলের শুভ্রতায় মুগ্ধ হচ্ছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। অনেকে আবার পরম যত্নে নিজের স্মার্টফোনে তুলছেন ফুলের ছবি। অযত্নে বেড়ে উঠেও যে মুগ্ধতা ছড়ানো যায়, তার এক অনন্য উদাহরণ এই কচুরিপানা ফুল।
কচুরিপানা মূলত বেড়ে ওঠে অযত্নে। আবার এই কচুরিপানা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্যেই জুড়ায় মানুষের মন। এ ফুলের নান্দনিক রূপ দূর থেকেই ভেসে আসে চোখে। ছোট ছোট বদ্ধ জলাশয়ে ফোটা কচুরিপানা ফুলের সৌন্দর্যে বিমোহিত হন অনেকেই।
স্থানীয়রা বলছেন, খাল, বিল, পুকুর, ডোবাসহ বিভিন্ন বদ্ধ জলাশয়ে এ সময় পানি শুকিয়ে যায়। আর এ অল্প পানিতে ব্যাপকহারে জন্মে কচুরিপানা। এসব কচুরিপানা এখন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে। যা দেখতে মনোরম।
উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুলে যেতে-আসতে স্কুলের পাশে পুকুরে ফুটে থাকা কচুরিপানা ফুল দেখতে পায় তারা। মাঝে মধ্যে কিছু ফুল ছিঁড়ে খেলা করে তারা, আবার বাড়িতেও নিয়ে যায় অনেকেই। কেউ কেউ আবার বন্ধুদেরও উপহার দেয় এ ফুল।
কমলগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেলওয়ার হোসেন বলেন, কচুরিপানা নিজ থেকেই জন্মায়। যখন বদ্ধ জলাশয়গুলোতে পানি কম থাকে তখন এতে ফুল ফোটে, যা দেখতে অনেক সুন্দর। এতে মুহূর্তেই আকর্ষিত হয় মানুষ। কম-বেশি অনেকেই এ ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, কচুরিপানা কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সঠিকভাবে এসব কচুরিপানা সংরক্ষণ করা হলে জৈব সার তৈরি করা যায় এ দিয়ে। এতে কৃষকরা ভালো ফলন পাওয়ার পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হতে পারেন। তাই কচুরিপানাকে কাজে লাগানোর জন্য আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে থাকি।
কচুরিপানা ফুলের সৌন্দর্যের কথা উল্লেখ করে কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, বর্তমানে কমলগঞ্জ উপজেলার খাল-বিল, পুকুর-ডোবাসহ বিভিন্ন বদ্ধ জলাশয়ে দেখা যাচ্ছে কচুরিপানাগুলোতে ফুল ফুটেছে। যা দেখে অনেকে বিমোহিত হচ্ছেন। আমার নিজেরও ভালো লাগে এই ফুল দেখতে। কারণ এ ফুলে অন্য রকমের এক মুগ্ধতা ছড়ায়।
http://dlvr.it/SyfGff
0 Comments