Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নৌকার মনোনয়ন দৌড়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির এই সদস্য এই আসনে মনোনয়নপত্র ফরম জমা দিয়েছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি শক্তিশালী দুর্গ গড়ে তুলেছেন। মান-অভিমানে ঘরে চুপিসারে বসে থাকা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে, তাদের বুঝিয়ে এক কাতারে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। এভাবে এলাকার নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে তিনি জনসমর্থন সৃষ্টি করেছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা শতাধিক পথসভা, কর্মী সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করেছেন। সবখানে তিনি একটি কথাই বলে এসেছেন- নৌকা যার, আমি তার। নৌকার মনোনয়ন যিনি নিয়ে আসবেন আমি তার পক্ষে কাজ করবো।
প্রতিটি জনসভায় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত টানা ১৫ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরেছেন। কর্মিসভাগুলোতে তিনি কর্মীদের শিখিয়েছেন, কিভাবে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি স্বপ্ন দেখিয়েছেন চুয়াডাঙ্গাকে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা করার।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন তারাদেবী ফাউন্ডেশন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দুটি এম্ব্যুলেন্স চব্বিশ ঘণ্টা সেবা দিয়ে আসছে। গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি ও মিড-ডে মিল এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন।
করোনা মহামারির সময়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাধ্যমে ৭৫ হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। অসংখ্য গরিব মানুষকে নগদ অর্থ ও চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াও তিনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সেক্টরে আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রতি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের ভালবাসার নেপথ্যের মূল কারণটি হলো যে তিনি কর্মীবান্ধব। পরোপকারী, গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থেকে সবার আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।

আলমডাঙ্গায় আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের একাংশ। ফাইল ছবি

স্থানীয় অনেকের অভিব্যক্তি, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মানুষের স্বপ্নসারথি। জনপ্রিয়তা, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতা এবং রাজনৈতিক রণকৌশল বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তাকে এই আসনে মনোনয়ন দেবেন- এমন প্রত্যাশা তাদের।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহম্মেদ বাবলু বলেন, বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পরিবার-তন্ত্র কায়েম করেছেন। সেই জায়গা থেকে আমাদের নেতা দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ব্যক্তি-উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার মানুষের কল্যাণে ১৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই তাকে আমরা নৌকার মাঝি হিসেবে চাই।
জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার বলেন, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা নিঃসন্দেহে একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে তিনি পাশে থাকেন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান এমপি দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। দিলীপ কুমার এমপি হলে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত এই অঞ্চলে আরও শক্তিশালী হবে।
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের চাওয়া নৌকার হাল ধরবেন দিলীপ কুমার। আমরা তাকেই চাই। যারা পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি করে তাদের চাই না।
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। আমি নৌকার পক্ষে। দল যাকে নৌকার মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই আমি কাজ করবো। আমি সব সময় বলে আসছি, নৌকা যার আমি তার। দলীয় হাইকমান্ড অবশ্যই আমার জনপ্রিয়তা, করোনার সময় আমার কার্যক্রম এবং সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া বিবেচনা করবে।
প্রসঙ্গত, দিলীপ কুমার আগরওয়ালা ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর পাঁচ বারের পরিচালক ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়া বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস)-এর চার কমিটির সাধারণ সম্পাদক, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৮ বারের সর্বোচ্চ করদাতা এবং ৮ বারের কমার্শিয়ালি ইমপরট্যান্ট পারসন (সিআইপি) এই সফল ব্যবসায়ী।


http://dlvr.it/SzD8Zv

Post a Comment

0 Comments