Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

যেভাবে এলো গাধা দিবস

বহু বছর ধরে মানুষের জন্য সেবা দিয়ে আসা এক প্রাণী হলো গাধা। বিশেষ করে ভার বহনে গাধা হয়ে আছে আস্থার প্রতীক। বৈরি আবহাওয়া কিংবা কঠিন ভূখণ্ডেও গাধা টিকতে পারে সহজেই। প্রতি বছর ৮ মে পালন করা হয়ে থাকে বিশ্ব গাধা দিবস। ২০১৮ সাল থেকে চালু হয়েছে এই দিবস। এ হিসেবে বুধবার পালন করা হচ্ছে এই দিবস।

যেভাবে এলো গাধা দিবস
প্রাণী নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানী আর্ক রাজিক গাধা দিবসের প্রতিষ্ঠাতা। গাধা সমাজের মানুষের জন্য যে পরিশ্রম করছে বা অবদান রাখছে, তার কোনো স্বীকৃতি নেই- এই ভাবনা থেকে গাধা দিবস পালনের চিন্তা করেন তিনি। ফেসবুকে একটি গ্রুপ খুলে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার পর গাধা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

গাধার ব্যবহার
আধুনিক সময়ে এসে যে গাধাগুলো দেখা যায়, এগুলো এসেছে সোমালি বন্য গাধা এবং নুবিয়ান বন্য গাধা থেকে। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপ-প্রজাতি। কয়েক শ বছর ধরে মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে এই প্রাণীটি।
গাধা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উদ্দেশে ব্যবহার করা হয়। বিদ্যুৎ বা বাষ্পশক্তি উদ্ভাবনের আগে সমাজের উন্নয়নে গাধা দ্বারা উৎপাদিত শক্তি ব্যবহার হতো নানা ক্ষেত্রে। বহু পথ অতিক্রম করতে পারে গাধা। ঘণ্টায় ৩১ মাইল যেতে পারে একটি গাধা। গাধা বাঁচে গড়ে ৫০ থেকে ৫৪ বছর।

গাধার বৈশিষ্ট্য
একবার কোনো পথ দিয়ে গেলে সেই পথের কথা মনে থাকে গাধার। পথ চিনতে পারে এই প্রাণীটি। গাধা সাধারণত সতর্ক থাকে এবং এমন পরিস্থিতিতে ভয় পায় যা তারা বিপদজনক বলে মনে করে।
পরিষ্কার থাকতে পছন্দ করে গাধা। নিজেরা দেখতে কেমন, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয় এই প্রাণীটি। প্রাণীটি উষ্ণ ও শুষ্ক পরিবেশ যেমন মরুভূমির মতো জায়গা পছন্দ করে। যখন একটি গাধার সঙ্গীকে তার কাছ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, তখন প্রাণীটি কষ্ট পায়।
বিশ্বে ১৮৬ বা এর চেয়ে বেশি ধরনের গাধা আছে। এ প্রাণীটির শ্রবণশক্তি এতই বেশি যে, অনেক দূর থেকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে সহজেই।


http://dlvr.it/T6ZXd1

Post a Comment

0 Comments