আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা (এমপি) যাতে প্রচারে অংশ নিতে না পারেন, সে জন্য স্পিকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান রোববার এ সংক্রান্ত চিঠি সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠান।
এতে বলা হয়, চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে। উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালায় বলা হয়েছে, (১) সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না, তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার ভোটার হলে তিনি কেবল তার ভোট দেয়ার জন্য ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।
(২) নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের ব্যবহার করতে পারবেন না।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আচরণ বিধিমালার ওই বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালনের নিমিত্তে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা যাতে এলাকায় গমন করে নির্বাচনি প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করেন অথবা আচরণ বিধিমালা মেনে চলেন, তার জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয় হতে সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশনা জারির উদ্দেশ্যে স্পিকারকে গোচরীভূত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টিতে চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় ঠিক হয়নি।
তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে।
http://dlvr.it/T6THnv
0 Comments