Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে পা ভাঙার অভিযোগ রিকশাচালকের

ঢাকার সাভারে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে এক দরিদ্র রিকশাচালকের পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্তব্যরত এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রিকশাচালকরা।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় মো. ফজলু নামের ওই রিকশাচলাককে উদ্ধার করে প্রথমে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সাভার সুপার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী মো. ফজলু দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার বনসাপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। প্রায় ২২ বছর ধরে তিনি সাভারে বসবাস করছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক বিভাগের র্যাকার চালক সোহেল রানা ও মো. মোস্তফা।

ঘটনা জানাজানি হলে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন অন্য রিকশাচালকরা। ছবি: নিউজবাংলা

চিকিৎসাধীন ফজলু বলেন, আজ অটোরিকশা চালিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় পাকিজার সামনে থেকে মোটরসাইকেল যোগে র্যাকারচালক সোহেলসহ দুজন আমাকে ধাওয়া করে। গেন্ডা বাস স্ট্যান্ডের কাছে গিয়ে তারা আমাকে ধরে রিকশা থামাতে বললে আমি সাইড করে থামাতে চাই, কিন্তু কোনো কিছু না শুনেই একটি লোহার রড দিয়ে প্রথমে বাম পায়ে আঘাত করে তারা। আমি হাত দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ডান পায়ে রড দিয়ে আঘাত করে তারা। এতে আমার পা ভেঙে গেলে আমি পড়ে যাই। পরে আর উঠে দাঁড়াতে পারি নাই।
আমার চিৎকার ও মারধর দেখে স্থানীয়রা এসে ওই ট্রাফিক পুলিশদের ঘিরে ধরে। এ সময় তারা সবার কাছে ভুল স্বীকার করে আমাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর কথা বলে জনরোষ থেকে রক্ষা পায়, কিন্তু লোকজন চলে গেলে আমাকে অপর একটি রিকশায় তুলে দিয়ে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে তারা সটকে পড়েন।
এ ঘটনা জানাজানির পর অন্যান্য রিকশাচালকরা বিচারের দাবিতে সাভার প্রেসক্লাবের সামনে থানারোড এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
অভিযুক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য সোহেল রানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে র্যাকারচালক মো. মোস্তফা বলেন, আমি ওই রিকশাচালককে মারিনি। আমি আজ র্যাকারের দায়িত্বে রয়েছি। আমার নাম মোস্তফা; আহতের কাছে জানতে চাইলেই বলবে, আসলে কে তার পা ভেঙেছে। বরং আমিই ওকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, আমি ডিউটিতে এসেই দেখি এসব ঘটনা। সোহেল ডিউটিরতম অবস্থায় ঘটনাস্থলে ছিল। আমি বলেছি- আগে চিকিৎসা করো, পরে যা হবার হবে। একথা বলে তাকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের অ্যাডমিন হোসেন শহীদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।


http://dlvr.it/T71JmW

Post a Comment

0 Comments