প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এতে আন্দোলনকারী অন্তত ২০০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ এমনটা দাবি করে বলেছেন, আহতদের মধ্যে অনেক নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
এদিকে ছাত্রলীগেরও একদল নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিজয় একাত্তর হলে প্রবেশের চেষ্টা করলে।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে অবস্থান করেন। অন্য একটি অংশ বিজয় একাত্তরে হলের ভেতরে ঢুকে সেখানে থাকা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান জানাতে থাকেন। এ সময় উপর থেকে তাদেরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ইটপাটকেল নিক্ষেপের এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে কয়েকজন আন্দোলনকারীরা আহত হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ বিজয় একাত্তর হলের সামনে সৃষ্ট ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় যোগ দেয়। এরপর আন্দোলনকারী আর ছাত্রলীগের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। এ সময় আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেল হলের বিভিন্ন কাঁচের জানালা ভেঙে পড়ে।
আন্দোলনকারী আর ছাত্রলীগের মধ্যে প্রায় এক ঘন্টা এই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এতে ধীরে ধীরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। এতে বিজয় একাত্তর হলের ১০টি বাইক এবং পঞ্চাশজন শিক্ষার্থী আহত হন বলে দাবি করেন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ।
ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটলে তাদের ওপর পেছন থেকে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হন। এ সময় অনেক নারী শিক্ষার্থী টিএসসির অবস্থান কর্মসূচি থেকে হল বা নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চাইলে তাদের ওপর লাঠি নিয়ে হামলা চালান মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ভাংচুর করতেও দেখা যায়। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগসহ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ ভাস্কর্যে অবস্থান নেন।
http://dlvr.it/T9cHGT
0 Comments