কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইসলামাবাদের জেলা ও সেশন কোর্টের একজন বিচারপতি শনিবার ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে ইদ্দত মামলায় দেয়া অভিযোগ তুলে নিয়েছেন।
এই মামলাটির কারণেই পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা জেলে আটকে আছেন। অন্য মামলাগুলোর কোনোটিতে জামিন আবার কোনোটিতে খালাস পেয়েছেন। শনিবারের এই রায়ের পর তাকে জেলে আটকে রাখার আর কোনো বিদ্যমান মামলা নেই।
অনলাইন ডনের এক রিপোর্টে বলা হয়, ইমরান খান এই মামলায় প্রায় এক বছর জেলে আছেন। শনিবার দিনের শুরুতে মামলার রায় সংরক্ষিত রাখার পর স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার পর বিচারক আফজাল মাজোকা রায় ঘোষণা করেন।
আপিল গ্রহণ করে বিচারক বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলে অবিলম্বে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে মুক্তি দেয়া উচিত।
পিটিআই প্রধান এবং তার স্ত্রীর মুক্তির আদেশও ইস্যু করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ইমরান খানের কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। তোষাখানা ও সাইফার বা কূটনৈতিক বার্তা বিষয়ক মামলায় এর আগে তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে ৩ ফেব্রুয়ারি ইমরান দম্পতিকে ইদ্দত মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকার মামলায় তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
ফরিদ মানেকার অভিযোগ করেন, বুশরা বিবির ইদ্দতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই ইমরান খানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। এ মামলার শুনানিতে সিনিয়র সিভিল জজ কুদরাতুল্লাহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরাকে সাত বছর করে জেল এবং পাঁচ লাখ রুপি করে জরিমানা করেন।
নাগরিক সমাজ, নারী অধিকারকর্মী এবং আইনজীবীরা আদালতের এই রায়ের কড়া সমালোচনা করেন। তোষাখানা ও সাইফার মামলায় তাদেরকে জেল দেয়ার কাছাকাছি সময়ে এই রায় দেয়া হয়।
http://dlvr.it/T9XmKd
0 Comments