ফ্রান্সের সাধারণ নির্বাচনে রোববার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভোটে অপ্রত্যাশিতভাবে বামপন্থি জোট শীর্ষস্থান দখল করলেও কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় ঝুলন্ত পার্লামেন্ট পেয়েছেন ফরাসিরা।
এর মধ্য দিয়ে ইউরোপের দেশটি সম্ভাব্য রাজনৈতিক অচলাবস্থার মুখোমুখি হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে মারি লো পেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয়তাবাদী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমালোচক দল ন্যাশনাল র্যালিকে (আরএন) বড় ধাক্কা দিয়েছেন ভোটাররা। ভোটের আগে জনমত জরিপগুলোতে আরএনের শীর্ষে থাকার ইঙ্গিত মিললেও বুথ পরবর্তী পূর্বাভাসগুলোতে দলটির অবস্থান তৃতীয়।
নির্বাচনের এ ফল মধ্যমপন্থি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর জন্যও বড় ধরনের ধাক্কা, যিনি ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে আরএনের বিপরীতে দুর্বল পারফরম্যান্সের পর গত মাসে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আগাম ভোটের পর বড় ধরনের বিভক্ত পার্লামেন্ট পেয়েছেন মাখোঁ, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নে ফান্সের ভূমিকাকে দুর্বল করে দেবে।
এ ভোটের মধ্য দিয়ে তিনটি বড় গ্রুপে (বামপন্থি, মধ্যমপন্থি ও কট্টর ডানপন্থি) বিভক্ত হলো ফ্রান্সের পার্লামেন্টে। এ পক্ষগুলোর একত্রে কাজ করার নজির নেই। এর ফলে অনিশ্চয়তা অপেক্ষা করছে ফ্রান্সের জন্য।
http://dlvr.it/T9HzSW
0 Comments