Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করবে না ৩৪ ছাত্র সংগঠন

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। তবে এবার দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ ৩৪টি ছাত্রসংগঠন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে এতে ছাত্রশিবিরের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও ছাত্রলীগ ও ছাত্রসমাজের (এরশাদ) কোনো প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
গতকাল সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত আজ মঙ্গলবার বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়।
বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সমন্বয়ক মাহফুজ আলম, সদস্য নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী ও আরিফুল ইসলাম আদীব। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম এতে অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ জুলাই-আগস্টকে বাংলাদেশের জনগণের শোক, সংহতি ও প্রতিরোধের মাস হিসেবে সাব্যস্ত করেন। এছাড়াও ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন না করার বিষয়ে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উপস্থিত সব ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ এসব সিদ্ধান্তের সঙ্গে লিখিতভাবে একমত পোষণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মতবিনিময় সভায় যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তা হলো- জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সুসংহতকরণের লক্ষ্যে ন্যূনতম এক মাস বা পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও বেশি সময় সব ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসগুলোতে নিজেদের আলাদা করে কোনো কর্মসূচি দেবে না। বরং তারা এই আন্দোলনের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এবং সব ধরনের প্রতি-বিপ্লব রুখে দেয়ার জন্য লড়ে যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে কোনো ছাত্র ক্যাম্পাসে বা অন্য কোথাও কারও ওপর নির্যাতন, নিপীড়ন, হুমকি কিংবা ট্যাগ-ব্লেইম দিতে পারবে না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের কোনো কর্মী বা নেতা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবে না।
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির ধরন ও প্রকৃতি নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে এই অন্তর্বর্তী সময়ে সংলাপ অব্যাহত থাকবে। ফলত, ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চলবে কিনা সে বিষয়ে আলোচনা আন্দোলন অব্যাহত থাকা পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ছাত্রসংগঠনগুলোর ভূমিকা থাকবে না বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
জাতীয় শোক দিবস নিয়ে বিরোধিতার ব্যাখ্যায় বলা হয়, ১৫ আগস্টকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকে রূপান্তর করা হয়েছে এবং এ দিবসকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তাই জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা ও অভ্যুত্থান সংহত করার লক্ষ্যে ১৫ আগস্টকে রাষ্ট্রীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করাটা সমীচীন নয়।
নেতৃবৃন্দ জুলাই-আগস্টকে বাংলাদেশের জনগণের শোক, সংহতি ও প্রতিরোধের মাস হিসেবে সাব্যস্ত করেন।
লিয়াজোঁ কমিটির উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভায় যেসব ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন ও মতৈক্যে পৌঁছেছেন তাদের তালিকা-
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল; গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি; বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন; বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির; বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (রাগিব নাঈম); বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট; ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ; বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল); বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন; পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (ইউপিডিএফ); বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ; পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (জেএসএস); বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ (নুর); বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ; ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম); বিপ্লবী ছাত্রসংহতি; রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন; ছাত্র অধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া); বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস; বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস; বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস; গণতান্ত্রিক ছাত্রদল (এলডিপি); নাগরিক ছাত্র ঐক্য; জাগপা ছাত্রলীগ; বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম (গণফোরাম-মন্টু); ভাসানী ছাত্র পরিষদ; জাতীয় ছাত্র সমাজ (কাজী জাফর); জাগপা ছাত্রলীগ (খন্দকার লুৎফর); ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ; বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজ; বাংলাদেশ ছাত্র মজলিস; বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রসমাজ; বাংলাদেশ ছাত্রমিশন; বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল ও জুম লিটারেচার সোসাইটি।


http://dlvr.it/TBsXTr

Post a Comment

0 Comments