Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মালয়েশিয়াগামী ২০ যাত্রী উদ্ধার, আটক ৩ দালাল

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ২০ নারী-পুরুষকে উদ্ধারের পাশাপাশি তিন দালালকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরীর মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়ার কতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা। মালয়েশিয়াগামীদের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে মানব পাচারকারী একটি চক্র টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জমায়েত করে। এ খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় একটি বাড়ি থেকে তিন দালাল ও ২০ মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ১৭ পুরুষ, পাঁচজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আটক তিন দালালের মধ্যে লোনা বেগম (৩৫) টেকনাফের সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরীর বাসিন্দা। বাকি দুজন হলেন সাবরাংয়ের নয়াপাড়ার বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ (৩০) ও শাহপরীর দ্বীপের মগপুরার বাসিন্দা রিদুয়ান (২৮)।
উদ্ধার হওয়া মালয়েশিয়াগামী রোহিঙ্গা নারী উম্মে হাবিবা বলেন, ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা কন্ট্রাক্টে আমার ছোট বোনকে নিয়ে সাগরপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করি। এ জন্য দালালকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি।
বাকি ৩ লাখ টাকা মালেয়শিয়া পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল, কিন্তু দালালরা টেকনাফের একটি বাড়িতে ২ দিন আটকে রাখে। অবশেষে যাত্রার প্রস্তুতিকালে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, আরও বাড়িতে এবং পাহাড়ে অনেক রোহিঙ্গা আটক রয়েছে।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানান, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এক দালালের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। পুলিশের জালে আটক হওয়ার পর আর যাওয়া হয়নি।
নুর কায়াস নামের এক রোহিঙ্গা তরুণী বলেন, আমার বোন মালয়েশিয়া থাকে। সে মালয়েশিয়ায় আমার বিয়ে ঠিকঠাক করেছে। তাই বিয়ে করতেই আমি মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলাম।
দালালকে চিনি না আমরা। অনেকেই মালয়েশিয়া থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারাই মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ক্লিয়ার করেন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ধৃত দালালের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে নতুন করে মামলা দায়ের করে হবে। তার আগে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। রোহিঙ্গাদের তাদের ক্যাম্পে পাঠানো হবে।


http://dlvr.it/TFNwfS

Post a Comment

0 Comments