জাতীয় সংসদের সাবেক উপনেতা ও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিক মতিয়া চৌধুরীকে বৃহস্পতিবার মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী বজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়েছে।
জোহরের নামাজের পর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় দফা জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
এর আগে সিদ্ধেশ্বরীতে মতিয়ার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সিদ্ধেশ্বরী এবং আজাদ মসজিদ উভয় স্থানেই তার মরদেহে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
গুলশানের কেন্দ্রীয় মসজিদে (আজাদ মসজিদ) জানাজা শেষে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। সিদ্ধেশ্বরীতে তার মরদেহে শ্রদ্ধা জানান প্রতিবেশী ও স্বজনেরা। সেখানেই শ্রদ্ধা জানায় দৈনিক সংবাদ পরিবার।
এ রাজনীতিকের জানাজায় স্থানীয় কিছু নেতা দলটির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান, তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। ওই সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিবার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরসহ পরিবারের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তার নির্বাচনি এলাকার মানুষের দাবি থাকলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তার মরদেহ সেখানে নেয়া হবে না বলেও জানান তার ভাই মাসুদুল হক চৌধুরী।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বুধবার দুপুর ১২টার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিয়া চৌধুরী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। মাঝে তাকে বাসায় আনা হয়েছিল, কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন।
ছাত্র রাজনীতি শেষে তিনি ন্যাপে যোগ দিয়েছিলেন।
রাজনীতির মাঠে অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত ছিলেন মতিয়া। ১৯৭৯ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলটির কৃষি সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন।
সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন মতিয়া। বিগত সংসদে তিনি সরকারদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন।
http://dlvr.it/TFR9SJ
0 Comments