Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ওলামা-মাশায়েখদের ৯ দাবি

তাবলিগ জামাতের দিল্লির মাওলানা সাদ ও তার অনুসারীদের বাংলাদেশে আসার অনুমতি দেয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকার পতনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাবলীগ জামাতের এক পক্ষের নেতারা। একইসঙ্গে তারা দেশে কওমি মাদরাসা, তাবলিগ জামাত ও ইসলামকে রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঙ্গলবার ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে তারা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
রাজধানীর শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও আলেমদের বিরুদ্ধে সব ধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নয় দফা দাবি ঘোষণার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শেষ হয়েছে।
লাখো মানুষের উপস্থিতিতে এই সম্মেলন থেকে আলেমরা সরকারের কাছে নয় দফা দাবি ঘোষণা করেন।

সোহরাওয়ার্দী ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে মঙ্গলবার ছিল ব্যাপক যানজট। ছবি: নিউজবাংলা

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সাদ কান্ধলভির সমর্থকদের বিচার এবং স্বঘোষিত আমির সাদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। কাকরাইল মসজিদে সাদ সমর্থকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং বাংলাদেশে কাদিয়ানিদের আনুষ্ঠানিকভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে স্বঘোষিত আমির সাদ ও তার অনুসারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়েছে। আমরা কোনোভাবেই সেটি হতে দেবো না। তাদের সব ষড়যন্ত্র যে কোনো মূল্যে আমরা ব্যর্থ করে দেবো।
মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর মধুপুর) বলেন, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে। আমি বলবো কিসের পরামর্শ, এই সম্মেলন থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সরকারকে এটাই বাস্তবায়ন করতে হবে। ভিন্ন কোনো চিন্তা করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো। সরকারকেও আলেমদের সহযোগিতা করতে হবে। নয়তো পূর্ববর্তী সরকারের মতোই তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হবে।
সম্মেলন আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত চলে। মোনাজাত পরিচালনা করেন শাহ মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আলেমসহ হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘিরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতি ঘটে।
সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার শত শত আলেমও সম্মেলনে যোগ দিলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, যা সকাল থেকে শুরু হয়।
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন হাটহাজারীর খলিল আহমদ কাসেমী, মধুপুরের আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব, আল্লামা আব্দুল রহমান হাফেজ্জী, আল্লামা নুরুল ইসলাম, আদিব সাহেব হুজুর, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা রশিদুর রহমান, আল্লামা শেখ জিয়াউদ্দিন, আল্লামা শেখ সাজিদুর রহমান, ফরিদাবাদের আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আবু তাহের নদভী, মাওলানা আরশাদ রহমানী, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, প্রিন্সিপাল মিজানুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা আনোয়ারুল করিম ও মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী।


http://dlvr.it/TG18hX

Post a Comment

0 Comments