দেশ ছাড়ার পূর্বে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কোয়ারেন্টিন ইস্যু নিয়ে আলোচনায় বসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সে সময় কোয়ারেন্টিন সময়কাল ১৪ দিনের পরিবর্তে সাত দিন করা হয়েছিল। এর ভেতর তিন দিনের রুম কোয়ারেন্টিন। কথা ছিল বাকি চার দিন গ্রুপে ভাগ হয়ে জিম ও অনুশীলনের সুযোগ পাবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে পৌঁছেই বদলে গেল দৃশ্যপট। তিন দিনের পরিবর্তে এখন জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার ও স্টাফকে রুম কোয়ারেন্টিনে থাকা লাগবে সাতদিন। নিউজিল্যান্ড বিমান বন্দরে নেমেই জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও স্টাফদের ভিন্ন তিন রঙ্গের ব্যান্ড হাতে পড়িয়ে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। বেগুনি, হলুদ ও নীল। তিন ধরণের ব্যান্ডের তিন অর্থ। বেগুনি ব্যান্ড সবচেয়ে বিপজ্জনক চিহ্ন হিসেবে ধরা হয় নিউজিল্যান্ডে। অপেক্ষাকৃত কম বিপজ্জনক হলে তখন হলুদ এবং একদম নিরাপদ বোঝাতে নীল ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিভাজনের ফলে জাতীয় দল তিনভাগে ভাগ হয়ে গেছে প্রথম দিন থেকেই। দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে এসকল তথ্য দেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। সুজন বলেন, বিমানবন্দরে নামার পরই আমাদের প্রত্যেকের হাতে ব্যান্ড পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে আছি। আমার আর (ওটিস) গিবসনের সামান্য কাশি আছে। তাই আমাদের পার্পল ব্যান্ড পরানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সবাইকেই রুম থেকে একবার খোলা জায়গায় যেতে দেওয়া হয়। তবে ব্যান্ডের রং অনুযায়ী গ্রুপে গ্রুপে। এর মধ্যে আমার আর ওটিসেরটা একটু ভিন্ন। সিকিউরিটির লোকজন আসার পর বের হই। বলা আছে, যেন কোথাও স্পর্শ না করি। বিমানের একজন কোভিড পজিটিভ হওয়ায় এই বিশেষ সতর্কতা নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সুজন বলেন, সহযাত্রী একজন কোভিড পজিটিভ পাওয়ার পর ওই যাত্রীর সংস্পর্শে এসে থাকতে পারে, এমন সবাইকে হলুদ ব্যান্ড পরিয়ে নজরে রাখা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন শেষ করে মঙ্গলবার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনুশীলনে নামার কথা থাকলেও সেটি হচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে মাঠ প্রস্তুত না হওয়ায় বুধবারের আগে শুধুমাত্র নীল ব্যান্ডধারীরা ছাড়া অনুশীলনের সুযোগ কেউ পাবে না বলে জানান সাবেক এই ক্রিকেটার। সুজন বলেন, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট থেকে বলেছে যে বৃষ্টির কারণে উইকেট তৈরি করতে পারেনি। তাই এক দিন পর প্র্যাকটিস শুরু হবে। তবে কাল (আজ) থেকে জিম করা যাবে আলাদা আলাদা গ্রুপে। তবে শীঘ্রই দলের সবাই অনুশীলনের সুযোগ পাবে বলে আশা করছেন তিনি। সুজন বলেন, সবার দুইবার করে টেস্ট হয়েছে। প্রতিবারই নেগেটিভ এসেছে। আশা করছি, ব্লু ব্যান্ড পেয়ে যাবে সবাই। আগামী ১ জানুয়ারি মাঠে গড়াবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। জানুয়ারির ৯ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ টেস্টটি।
http://dlvr.it/SFKkhS
0 Comments