তুচ্ছ ঘটনায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদেরই দুষছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকালে প্রথম বর্ষের গুচ্ছভিত্তিক বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরুর পর পাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবুর অনুসারী মিনহাজুল প্রান্ত ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহর অনুসারী সাব্বিরের মধ্যে মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে ফরিদুল ইসলাম বাবুর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে হামলা চালিয়ে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিট করেন তারা। হামলায় আহতদের বেশিরভাগই সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহর সমর্থক।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার দিন ছাত্রলীগের মারামারি করা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।
তবে সংঘর্ষে নিজেদের ও ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল্লাহ।
তারা বলেন, মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়। সেখান থেকে হলে গিয়ে কিছু মারামারি হয়েছে। ছাত্রলীগের কেউ এ ঘটনায় জড়িত নয়। এখানে ছাত্রলীগের কোনো গ্রুপিং নেই।
তবে সংঘর্ষের ঘটনায় যদি ছাত্রলীগের কেউ জড়িত থাকে, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা।
ছাত্রলীগের সঙ্গে একই সুরে সুর মিলিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটিকে ভুল বোঝাবুঝি হিসেবে উল্লেখ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগের মধ্যে ঝামেলা হয়নি। তারপরও যেহেতু ছাত্রলীগের কথা এসেছে, আমরা সবার সঙ্গে বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রুতই সমাধান হয়ে যাবে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
যেহেতু ভর্তি পরীক্ষা চলছে, দুর-দুরান্ত থেকে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা এসেছেন, তাই সবাইকে শান্ত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
http://dlvr.it/SpLJGJ
0 Comments