Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

৮ অভিযোগে রেজিস্ট্রারকে সিকৃবি উপাচার্যের শোকজ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েবের বিরুদ্ধে গুরুতর বিভিন্ন অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। বুধবার দুপুরে রেজিস্ট্রারকে শোকজের চিঠি দেন উপাচার্য। চিঠিতে রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে অসহযোগিতা, দায়িত্বে অবহেলা, উপাচার্যের সঙ্গে অসৌজন্যতা ও সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে না থাকাসহ গুরুতর ৮টি অভিযোগ এনে সাত দিনের মধ্যে চিঠির লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দেয়া অপর একটি অবহিতকরণ চিঠিতে রেজিস্ট্রারকে ১ জুন থেকে অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্ধকৃত ফাঁকা বাসাগুলোর একটিতে উঠে সর্বক্ষণ ক্যাম্পাসে অবস্থানের জন্য বলা হয়েছে। কারণ দর্শানো নোটিশের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে রেজিস্ট্রার মো. বদরুল ইসলাম শোয়েবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, এগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা নিজেরাই এগুলোর সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের গতি বৃদ্ধি করবো। তার বিচরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করতে চাননি রেজিস্ট্রার। উপাচার্য স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, উপাচার্য মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান। উপাচার্যের অনুরোধ সত্ত্বেও এ সময়গুলোতে রেজিস্ট্রার উপস্থিত ছিলেন না, যা অসৌজন্যমূলক ও শিষ্টাচারবহির্ভূত। উপাচার্যের বাসভবনে ওঠার সময় প্রয়োজনীয় জনবল রদবদল করতে উপাচার্যকে সহযোগিতা করেননি রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব। উপাচার্য বাসভবনে উঠার পর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হলে তাতেও উপস্থিতত থাকেননি তিনি, যা সৌজন্যতার মধ্যে পড়ে না বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। শোকজের চিঠিতে উপাচার্য আরও অভিযোগ করেন, আপনি কখন অফিসে আসেন, কখন অফিস ত্যাগ করেন, বিষয়টি আপনি কখনোই উপাচার্যকে অবহিত করেন না। প্রায়ই মধ্যাহ্নবিরতির পর অফিসে অবস্থান করেন না। এমনকি প্রায়ই কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকেন। ৮ মে-ও আপনি কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভিন্ন বিষয়ে আবেদন করে থাকেন, কিন্তু অনেক আবেদনই রেজিস্ট্রার যথাসময়ে উপস্থাপন করেন না বা যথাযথ ব্যবস্থা নেন না। এমনকি, কোনো কোনো আবেদন উপাচার্যের কাছে উপস্থাপনই করেন না। এ ছাড়া প্রায়ই যথাসময়ে উপাচার্যের দপ্তরে নথি পৌঁছানো হয় না। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নথি উপস্থাপন করার জন্য বারবার নির্দেশনা দিলেও রেজিস্ট্রার তা এড়িয়ে যান। গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে উপাচার্য কোনো নথি দেখতে চাইলেও তিনি তা সরবরাহ করেন না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত উপাচার্য অনুমোদন দেয়ার পরও সেগুলোর চিঠি জারি ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে দেরি করেন। সেই সঙ্গে জারি করা চিঠি যথাসময়ে বিতরণ করার ক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নেন না রেজিস্ট্রার। তার এসব কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ ও কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃঙ্খলা) বিধির পরিপন্থী হওয়ায় কেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে নোটিশে। এদিকে, শোকজের সঙ্গে দেয়া অপর চিঠিতে রেজিস্ট্রারকে সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকার কথা বলে উপাচার্য লেখেন, রেজিস্ট্রার ক্যাম্পাস কোয়ার্টারে অবস্থান না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে যেমন ব্যাঘাত ঘটছে, তেমনি সরকারও রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনতে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে অধ্যাপক ও সমমানের কর্মকর্তাদের ফাঁকা বাসার যেকোনো একটি পছন্দ করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। এসব বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞার সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ড. সালাউদ্দিন আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য স্যার মিটিংয়ে আছেন বলেন জানান তিনি।
http://dlvr.it/Snsw6J

Post a Comment

0 Comments