Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বেসিক ব্যাংকের চার কর্মকর্তার আত্মসমর্পণের আদেশ বাতিল

বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলায় ব্যাংকটির চার কর্মকর্তাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। চার কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম। এর আগে হেড অফিসের এজিএম সাদিয়া আক্তার শাহীন ২০ মামলায় ও মো. জালাল উদ্দিন ১৮ মামলায়, গুলশান শাখার এজিএম রুমানা আহাদ ১৩ মামলায় এবং মতিঝিল লোকাল অফিসের এজিএম এ এস এম আনিসুর রহমান ১৮ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছিলেন। এরপর ৩ আগস্ট এ চার কমকর্তাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পরে দুদক এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৯ মামলায় ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দেয় দুদক। একটি ছাড়া বাকি ৫৮ মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা হয়েছে। ১২ জুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। ওই দিন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ৪৬ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীসহ এজাহারভুক্ত এবং তদন্তে নাম আসা আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তারা বিশ্বাস ভঙ্গ করে অন্যায়ভাবে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যকে লাভবান করে ভুয়া মর্টগেজ, মর্টগেজের অতিমূল্যায়ন এবং মর্টগেজ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন। এসব ঘটনায় দুদকের পাঁচ তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫৯টি মামলা করেন। এর মধ্যে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ছয়টি, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৫টি, মোনায়েম হোসেন ১৭টি, সিরাজুল হক তিনটি ও গুলশান আনোয়ার প্রধান ১৮টি মামলার তদন্ত করেছেন। তাদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আদালতে অভিযোগপত্র জমার অনুমোদন দিয়েছে।
http://dlvr.it/SvGflX

Post a Comment

0 Comments