ঢাকা কাস্টম হাউজের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় যত বড় কর্মকর্তাই জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, অপরাধ তো অপরাধই। যত বড় নেতা কিংবা কর্মকর্তাই হোক অপরাধীকে আমরা ছাড় দেবো না। ডিবি আগেও কাউকে ছাড় দেয়নি, ভবিষ্যতেও দেবে না।
মামলার দায়িত্ব পাওয়ার পর বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম হাউজের গুদামে দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মধ্যে ৮ জনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এর মধ্যে চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চারজন সিপাহী।
ডিবিপ্রধান আরও বলেন, বিমানবন্দরের মতো একটা জায়গা, যেখানে কঠোর নিরাপত্তা থাকে সেখানে এতো বড় একটা চুরির ঘটনা, এটা আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। পাশাপাশি গত চার-পাঁচ মাস গুদামে কারা কারা গেছেন সেটিও তদন্তে আনা হবে।
সিসি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণ, দায়িত্ব পালন ও জিজ্ঞাসাবাদের পর বলা যাবে আসলে ঘটনাটি কীভাবে হয়েছে এবং কারা ঘটিয়েছে। এক কর্তৃপক্ষ স্বর্ণগুলো আরেক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করলো। কিন্তু তারা কীভাবে বুঝিয়ে দিলো আর যারা বুঝে নিলো তারাই বা কীভাবে বুঝে নিয়েছে সেসব বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা এই তদন্ত শেষ করবো।
যে আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা কোনো তথ্য দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, এখনও সেই পর্যায়ে যায়নি। পরবর্তীতে জানানো হবে।
বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম হাউজে তদন্ত করতে গেলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে তদন্তে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কি না জানতে চাইল হারুন অর রশীদ বলেন, ডিবি স্বাধীনভাবে তদন্ত করবে। কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। কাস্টম হাউজের কর্তৃপক্ষ অনেক আন্তরিক। আমরা বলার পর তারা সঙ্গে সঙ্গে আটজনকে আমাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠিয়েছে।
কাস্টম কর্তৃপক্ষের পাঠানো ৮ জনই স্বর্ণ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত নাকি শীর্ষ পর্যায়ের আর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চুরির সঙ্গে শীর্ষ পর্যায়ের কেউ জড়িত থাকলেও আমরা খুঁজে বের করব। সিসি ক্যামেরা নষ্ট থাকা কিংবা গুদাম থেকে সিসি ক্যামেরা গায়েবের বিষয়ও তদন্তে আনা হবে।
http://dlvr.it/SvmRpq
0 Comments