জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের অজুহাতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন-সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ করা যাবে না। মাঠ কর্মকর্তাদের এই নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এদিকে তফসিল হলেও এনআইডির কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছে ইসি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন কাজের মধ্যেও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন ও সংশোধন-সংক্রান্ত কার্যক্রম চালু রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
তফসিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ বিষয়ে সতর্ক করে ইসি বলেছে, এ সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।
ইসি জানায়, তফসিল হয়ে যাওয়ায় মাঠ কর্মকর্তাদের অনেকেই নানা অজুহাতে নতুন করে নিবন্ধন, এনআইডি সংশোধন কার্যক্রমে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিষয়টি কমিশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র এখন অপরিহার্য, তাই এই সেবা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমনকি দুর্ভোগেও ফেলা যাবে না। তাই কমিশন এমন নির্দেশ দিয়েছে।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরী এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সব আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন গত ৫ অক্টোবরের ২৪তম সভায় জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।
২০২২ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৫ জানুয়ারি খসড়া এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠপর্যায়ে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন অন্তর্ভুক্তি ও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটার স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্দেশনা দেয়া হয়। পরবর্তী সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাঠানো হয়। ওই মুদ্রিত ভোটার তালিকা মনোনয়নপত্র বাছাইসহ অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যবহার করতে হবে।
ইসি জানায়, ১৪ সেপ্টেম্বরের পরও বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে নাগরিকরা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য তথ্য দেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন অফিসার বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নতুন নিবন্ধন বা এনআইডি প্রাপ্তির প্রয়োজনে নাগরিকরা বায়োমেট্রিকসহ তথ্যাদি নিতে আপত্তি/অনাগ্রহ দেখান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকরা যেন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত না হন, সে লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নতুন নিবন্ধনসহ সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।
এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সংশোধিত তথ্য এবং নতুন নিবন্ধিত ব্যক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না। তবে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রয়োজন হলে সম্পূরক ভোটার তালিকা করা হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই কেউ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। ভোট দিতে হলে মুদ্রিত ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে।
http://dlvr.it/Sz6xVD
0 Comments