Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

গাইবান্ধা-২: লড়াই স্বতন্ত্র-জাপায়

গাইবান্ধার পাঁচটি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৩০ গাইবান্ধা-২ সদর আসন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সদর-২ আসনটি জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দিয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী না থাকলেও ভোট যুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী।
যার ফলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে হয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুইভাগে ভাগ হয়ে কেউ লাঙ্গলের হয়ে কাজ করছেন, কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাকের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান দলীয় নেতারা।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচারণার চলছে ট্রাক-লাঙ্গলের তুমুল লড়াই।
দ্বাদশ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে দেয়ার ফলে এখন এ আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রশীদ সরকার। তিনি এ আসনে ১৯৯১-১৯৯৬ সালে দুই দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া আব্দুর রশীদ সরকার ২০০৯ সালে গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
অপরদিকে, এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী না থাকলেও ভোট যুদ্ধে নৌকার মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়া শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়ছেন আওয়ামী লীগেরই স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর (ট্রাক)। শাহ সারোয়ার কবীর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগ করা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এ ছাড়া তিনি গণপরিষদের প্রথম স্পীকার শাহ আব্দুল হামিদের নাতি।
এ ছাড়া এ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থীরা হলেন শাহ সারোয়ার কবীরের স্ত্রী ও আওয়ামী লীগ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. মাছুমা আক্তার (ঈগল পাখি), এন এনপির জিয়া জামান খান (আম) ও জাসদের মো. গোলাম মারুফ মনা (মশাল)।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন থেকেই গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুইভাগে বিভক্ত রয়েছে। দুই গ্রুপের মধ্যে একটি এই আসনের টানা তিন বারের সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম যিনি নৌকার মনোনয়ন পেয়েও বিএনপি না থাকা এই নির্বাচনে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে কাজ করছেন লাঙ্গলের প্রার্থী আব্দুর রশীদ সরকারের সঙ্গে।
আর অন্য গ্রুপ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শাহ সারোয়ার কবীর। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তাদের নেতা-কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়ার সুযোগ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সেই দলীয় কোন্দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থাকায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলেও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতা-কর্মীরা। ভোটের প্রচার-প্রচারণা নিয়েও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন তারা। কেউ মাহবুব আরা হয়ে প্রার্থীর, আবার কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে নির্বাচনি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় এই আসনে ভোটের লড়াই হচ্ছে স্বতন্ত্রের ট্রাক ও লাঙ্গলে।
এই আসনের ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থী থাকলেও লাঙ্গল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি ভোটের লড়াই।
দুই প্রার্থীই নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দারে দারে ভোট চাইছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ সারোয়ার কবীর (আওয়ামী লীগ, ট্রাক) বলেন, আমি সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান। এই এলাকায় আমার উন্নয়ন কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উন্মুক্ত করে দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। প্রচারণায় ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।
লাঙ্গলের প্রার্থী আবদুর রশিদ বলেন, আমি এই আসনে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। ফলে সদর আসনের ১৩ টি ইউনিয়নে আমার বিপুল পরিমাণ কর্মী-সমর্থক রয়েছে। এমপি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীর এলাকার অনেক উন্নয়ন করেছি। নিশ্চয়ই মানুষ তা ভুলে যায়নি। নিশ্চয়ই জনগণ আমাকেই এমপি নির্বাচিত করবেন।


http://dlvr.it/T0nlRy

Post a Comment

0 Comments