বিদায় নিচ্ছে ২০২৩। বিদায়ী বছরজুড়ে নানা ঘটনায় সংবাদের শিরোনাম হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, প্রক্টরসহ ১৯ জনের গণপদত্যাগ, প্রক্টর ও রেজিস্ট্রার পদে নতুন মুখ, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক, উপাচার্য পদত্যাগের আন্দোলন, সাংবাদিক হেনস্তা, দফায় দফায় ছাত্রলীগের উপগ্রুপগুলোর সংঘর্ষসহ আলোচিত-বিতর্কিত নানা ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনায় থেকেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বছরজুড়ে চবির আলোচিত কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
১৮২ দিন পর চারুকলার শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরা
শহর থেকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে গত বছরের ২ নভেম্বর আন্দোলনে নামে চবি চারুকলার শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন পর্ষদের সমঝোতার চেষ্টাতেও তাদের ক্লাসে ফেরাতে সক্ষম হয়নি কেউ।
আন্দোলনের মধ্যেই সিন্ডিকেট ডেকে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সংস্কারকাজের জন্য চারুকলা ক্যাম্পাস ও হোস্টেল এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর আরও দুই দফায় বাড়ানো হয় চারুকলা বন্ধের মেয়াদ। সর্বশেষ স্থানান্তর আন্দোলনের ১৮২ দিন পরে ক্লাসে ফেরেন শিক্ষার্থীরা।
রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থেকে নতুন রেজিস্ট্রার
কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে কাউকে পূর্ণকালীন রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের দাবিতে ১ জানুয়ারি আন্দোলন শুরু করেন চবি কর্মকর্তারা। আন্দোলনের মুখে পরের দিন চার দিনের ছুটিতে যান ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান, তবে চার দিনের ছুটি শেষ হলেও অধ্যাপক মনিরুল আর রেজিস্ট্রার পদে যোগ দেননি।
এর মধ্যেই মনিরুল পদত্যাগপত্র জমা দেন। সর্বশেষ ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম নূর আহমদ।
প্রথমবারের মতো চবিতে গবেষণা মেলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষণার বৈচিত্র্যকে সবার সামনে উপস্থাপনের লক্ষ্যে জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র এবং চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ অ্যান্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির (সিইউআরএইচএস) যৌথ উদ্যোগে চট্টগ্রাম রিসার্চ ফেস্টিভ্যাল শীর্ষক মেলার আয়োজন করা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১টি বিভাগ, ২৪টি ল্যাবরেটরি ও চট্টগ্রাম বিভাগের আরও ২০টি প্রতিষ্ঠান।
প্রক্টরসহ ১৯ জনের পদত্যাগ
এ বছরের মার্চে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, প্রক্টরিয়াল টিমের একটি বড় অংশ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টসহ ১৯ জন একযোগে গণপদত্যাগ করেন। একসঙ্গে এতজনের পদত্যাগ চবিজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
প্রক্টরের পদত্যাগের ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানেই ওই দিন নতুন প্রক্টর নিয়োগ দেয়া হয়। নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পান ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেসের অধ্যাপক ড. নূরুল আজিম সিকদার। নিয়োগের পর তাকে নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক।
৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৬ মার্চ এ সম্মাননা দেয়া হয়। আগের বছরও ৫০ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেয় চবি কর্তৃপক্ষ।
ফাঁসিতে ঝুলে ও বিষপানে দুই ছাত্রীর মৃত্যু
চলতি বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে গলায় ফাঁস দেয়া এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ওই ছাত্রীর নাম রোকেয়া খাতুন।
দেড় মাস পর ১৫ মে তেলাপোকার ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়। সুমি ত্রিপুরা নামের ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
২ শিক্ষার্থীর ঝুলিতে যুক্তরাজ্যের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড
সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাজ্যের সম্মানজনক ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল হাসান লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এবং নিশাত সুলতানা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
বিতর্কিত প্রার্থীর নিয়োগ আটকে দেয় চবির সিন্ডিকেট
বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পালি বিভাগে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রক্টর অরূপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভি বড়ুয়াকে নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের সময় ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পরিকল্পনা কমিটি।
ফলক থেকে মোছা হয় সাবেক প্রভোস্টের নাম
গত ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল চালুর দিন বঙ্গমাতার মুর্যালের উদ্বোধনের ফলক থেকে মুছে দেয়া হয় হলটির সাবেক প্রভোস্ট ড. প্রকাশ দাশগুপ্তের নাম। ফলকটিতে দেখা যায়, ভিসি শিরীণ আখতারের নাম ছাড়া বাকি অংশ রং দিয়ে মুছে দেয়া হয়। এটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে শুরু হয় সমালোচনা।
গলা চেপে ধরব: চবি অধ্যাপককে ডিন
গত ২৫ জুলাই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় দুই শিক্ষকের মধ্যে হট্টগোল ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক আরেক অধ্যাপককে গলা চেপে ধরব বলে তেড়ে যান বলে অভিযোগ উঠে। অভিযোগ তোলেন প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. গোলাম কবীর। এ ঘটনায় সুবিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর চিঠি দেন গোলাম কবীর।
ক্ষমা চেয়ে চবি ছাত্রলীগের ৯ নেতা-কর্মীর দায়মুক্তি
সংঘর্ষ, ভাঙচুর, মারামারি, সাংবাদিক হেনস্তাসহ বিভিন্ন ঘটনায় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ৯ নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছিল, তবে আগস্টের শুরুতে তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে চিঠি পাঠানো হয়। প্রক্টর বলেন, তারা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছে।
শাটলে দুর্ঘটনা, চবিজুড়ে তাণ্ডব
গত ৭ সেপ্টেম্বর শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় হেলে পড়া গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ১৬ জন আহত হন। ঘটনার আকস্মিকতায় ফুঁসে উঠেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই ছড়ানো হয় শিক্ষার্থী মৃত্যুর গুজব।
মৃত্যুর গুজবে তাণ্ডব চালানো হয় চবির বিভিন্ন জায়গায়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আগুন জ্বালিয়ে ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালান। রাত ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের ভাঙচুর করেন তারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর ও ক্যাম্পাস ক্লাবে গিয়ে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
ভাঙচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুই মামলায় সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও এক হাজার জনকে আসামি করা হয়।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা-হেনস্তা: দোষীদের মানবিক কারণে ক্ষমা
চলতি বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন সাংবাদিককে হেনস্তা ও মারধর করা হয়। তারা হলে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তার, ঢাকা স্টেটের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদ ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মোশাররফ শাহ।
সাংবাদিক হামলার ঘটনায় দফায় দফায় আন্দোলনে নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। দোস্ত মোহাম্মদের ওপর হামলার ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে ছয় মাস বহিষ্কার করা হলেও কয়েক মাস পরে মানবিক কারণে সেটি প্রত্যাহার করা হয়। অপর দুই সাংবাদিক হামলা ও হেনস্তার ঘটনায় এখনও বিচার হয়নি।
ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
দফায় দফায় সংঘর্ষ ও সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগে কমিটি ইস্যুতে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের সদস্যরা।
সংঘর্ষ সংঘাতে বারবার আলোচনায় ছাত্রলীগের উপগ্রুপগুলো
তুচ্ছ ঘটনা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বছরজুড়ে বারবারে সংঘর্ষ ও সংঘাতে লিপ্ত হয়ে খবরের শিরোনাম হন শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপগুলো। এতে কমপক্ষে দেড় শতাধিক কর্মী আহত হন। এ ছাড়াও নানা ঘটনা ও দাবিতে অনেকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক ও হলে তালা দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
দুই দফা নোটিশ দিয়ে হলত্যাগের নির্দেশ
সংস্কার ও উন্নয়নকাজের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলগুলো ২৩ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
দফায় দফায় সংঘর্ষের পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর অছাত্র ও বহিষ্কৃতের সোমবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসন।
লোকপ্রশাসন বিভাগ: ফেসবুকে অগ্রহণযোগ্য মতামত প্রকাশ করলে ছাত্রত্ব বাতিল
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট ও কমেন্টে অগ্রহণযোগ্য মতামত প্রকাশ নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন বিভাগের চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন আহমদ। বিভাগের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে (ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) দেয়া এ সংক্রান্ত একটি স্ক্রিনশট ১৯ অক্টোবর ফাঁস হলে শুরু হয় সমালোচনা।
উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষক সমিতির আন্দোলন
আইন ও বাংলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবিতে গত ১৮ ডিসেম্বর উপাচার্যের কাছে যায় চবি শিক্ষক সমিতি। তাদের অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে বিভাগের পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের লঙ্ঘন, তবে ওই দিন দাবি না মানায় উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে টানা আন্দোলনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।
টানা তিন দিন অবস্থান কর্মসূচি শেষে চতুর্থ দিন প্রতীকী গণঅনশন করেন তারা। শীতের ছুটির পর পরবর্তী কর্মসূচি জানাবেন বলে জানিয়েছেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। তবে এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে শিক্ষকদের আরেকাংশ।
ফের যৌন হয়রানি অভিযোগ
গত ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে বাগদত্তাসহ যৌন হয়রানি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রশাসন।
২০২২ সালের ১৭ জুলাই রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের হতাশার মোড় থেকে হলে ফেরার পথে এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন কয়েকজন। এ সময় ওই ছাত্রীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে নিপীড়নকারীরা।
যৌন নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১০ ধারায় মামলা করে ওই ছাত্রী। পাশাপাশি যৌন নিপীড়নে জড়িত আসামিদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিষিদ্ধ করে চবি প্রশাসন, তবে জামিন পেয়েই ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন আসামিরা।
http://dlvr.it/T0k1tg
0 Comments