পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের কাজিরহাট বাজারে রোববার রাতে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি এ হুমকি দেন।
বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও তার কর্মী- সমর্থকদের ইঙ্গিত করে নুরুজ্জামান বলেন, যারা নৌকাকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন চলেছে, এখন নৌকার বিরোধিতা করে, এদেরকে চিহ্নিত করে রাখবেন৷ ৭ তারিখের (নির্বাচনের দিন) পরে এই সমস্ত লোককে নৌকার আশেপাশে দেখলে প্রয়োজন বোধে তাদের ঠ্যাংগুলো (পাগুলো) ভেঙে দেয়া হবে। এদেরকে খন্দকার মোশতাক বলা হয়।
নৌকার নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, নৌকার পতাকার তলে দীর্ঘদিন ধরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়েছে। এখন নৌকার বাহিরে তারা অন্য সুর ধরেছে। তাদের চিহ্নিত করে রাখবেন।
নৌকার প্রার্থীর ওই সর্মথকের হুমকির ভিডিওটি এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হলে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
হুমকি দেওয়া নুরুজ্জামান নুরু জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক।
এর আগেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তার অনুসারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব এক নির্বাচনি সভায় এমন হুমকি দিলে তাকে শোকজ করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, নৌকা মার্কার যে চেয়ারম্যান, তিনি যে প্রকাশ্যে হুমকি দিলেন, এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে। আমি আশা করি রিটার্নিং অফিসার এর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ এতে আমরা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি, আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসবে যে, নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি আরও বলেন, এই যে এত উদ্ভটভাবে আমাদের বলল নৌকা মার্কার বিপক্ষে যারা কথা বলবে, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের ঠ্যাং ভেঙে দেয়া হবে, এটা শতভাগ নিশ্চিত যে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে।
আমি এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সহযোগিতা কামনা করছি এবং আমি আশা করছি যে, তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিলে আমাদের নির্বাচনের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ফিরে আসবে।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান নুরুকে সোমবার সকালে কল করে পাওয়া যায়নি।
http://dlvr.it/T0ZCZH
0 Comments