জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সমন্বিত অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং কপ-২৮ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. হাছান মাহমুদ। সূত্র: বাসস
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুরে দুবাইতে কপ-২৮ সম্মেলনের সাইডলাইনে রাইজিং উইথ দ্য টাইড: ট্র্যাকিং রিফর্মস ইন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল আর্কিটেকচার ফর এক্সিলারেটেড ডেভেলপমেন্ট-পজিটিভ ক্লাইমেট অ্যাকশন শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি পৃথিবীকে মানুষের বাসযোগ্যভাবে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই আহ্বান জানান।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম এবং ২০টি ভালনারেবল দেশের জোট সিভিএফ-ভি ২০-এর বর্তমান চেয়ারম্যান ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো আডো অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফোরামের পরবর্তী চেয়ারম্যান বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোটলি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে, ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ এবং প্রথম মহাসচিব মোহাম্মদ নাশিদ।
ঘানার প্রেসিডেন্ট এই ফোরামে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বের দুই মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সিভিএফ-ভি ২০ ফোরামে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো সহনীয়তা ও সক্ষমতায় সমৃদ্ধ হয়েছে। সে সময়ে বৈশ্বিক জয়েন্ট মাল্টি ডোনার ফান্ড গঠন এবং দেশে মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান প্রণীত হয়েছে।
জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের অধীনেই প্রতি বছর দেশের প্রয়োজন ৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
বাংলাদেশ উচ্চ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ নয়, বরং এর অসহায় শিকার। তবু বঙ্গবন্ধু-কন্যার পরিকল্পনামাফিক ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ ৪০ শতাংশ সবুজ শক্তি ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে।
মন্ত্রী হাছান মাহমুদ পরে কপ-২৮ প্রেসিডেন্সি গোলটেবিল বৈঠকে অ্যাক্সিলারেটিং ওয়াটার অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন বৈঠকে অংশ নেন।
http://dlvr.it/SzcXRQ
0 Comments