হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বধ্যভূমির জায়গা জুড়ে সিএনজি অটোরিকশা রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ব্যক্তিরা।
সরকার যেখানে সারাদেশে বধ্যভূমি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে স্বাধীনতার ৫২ বছরেও চুনারুঘাট পৌর শহরে অবস্থিত স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাঙ্ক্ষিত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
এই বধ্যভূমি সংরক্ষণে সংসদ সদস্য এবং স্থানীয় নেতাদের কোনো পদক্ষেপও নেই। একটি পক্ষ অবশ্য মানতে রাজি নন ওই স্থানে যে একটি বধ্যভূমি রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় চুনারুঘাট পৌর শহরে অবস্থিত পাক হানাদার ইউসুফ খান বাহিনীর একটি ক্যাম্প ছিল। উপজেলার সীমান্ত অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতাকামী সাধারণ মানুষ তাদেরকে হত্যা করে বাড়িঘর অগ্নিসংযোগ করে পাক বাহিনীরা। অনেক মানুষকে হত্যা করে খোয়াই নদীতে ভাসিয়ে দেয় এবং পৌর শহরের বর্তমান পুরাতন খোয়াই নদীর তীরে পুঁতে রাখে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর চুনারুঘাট উপজেলা পাকবাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত হয়।
তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবি চুনারুঘাট বধ্যভূমি চিহ্নিত ও দখলমুক্ত করে এখানে একটি নামফলক স্থাপন করেন ও বধ্যভূমির চারপাশে তারের বেড়া নির্মাণ করে একটি সাইনবোর্ড দেন ২০১৮ সালে। বর্তমানে সেই সাইনবোর্ডও উধাও হয়ে গেছে।
এই বধ্যভূমি দখলমুক্ত ও সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা।চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হানা এ বিষয়ে বলেন, কত অভিযান করবো! সকালে অভিযান করলে বিকেলে দখল হয়ে যায়।
হবিগঞ্জ জেলা প্রকাশক জিলুফা সুলতানা জানান, দ্রুতই বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ করা হবে।
http://dlvr.it/T2kJFc
0 Comments