Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

পুরুষ ঢোকা নিষেধ, তবু কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে অন্তঃসত্ত্বা বন্দিরা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি আদালত-বান্ধব (অ্যামিকাস কিউরি)-এর একটি রিপোর্টকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের নারী সংশোধনাগারে বন্দিরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন। গত এক বছরে রাজ্যে কেবল জেলের ভেতরেই জন্ম হয়েছে ১৯৬টি শিশুর।
রাজ্যের সংশোধনাগারে নারী বন্দিদের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন আদালতবান্ধব-এর আইনজীবীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হয়েছে একটি জনস্বার্থ মামলা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়েছিল আদালতবান্ধব-এর সেই বিতর্কিত রিপোর্ট।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, সেই রিপোর্ট সম্পর্কে জাতীয় নারী কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনেই প্রশ্ন তুললেন দমদম ও আলিপুর নারী সংশোধনাগারের বন্দিদের একাংশ।
আইনজীবীদের সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, আদালতবান্ধব হিসেবে নিযুক্ত আইনজীবী তাপস ভঞ্জ বিষয়টিকে গুরুতর বলে উল্লেখ করেছিলেন।
সোমবার জাতীয় নারী কমিশনের সদস্য ডেলিনা খোংদুপ ও শালিনী সিংহ দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের নারী বন্দিদের ব্লক এবং আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন।
কারা দপ্তর সূত্রের খবর, তাদের সামনে বেশ কয়েক জন নারী বন্দি অভিযোগ করেন, ওই রিপোর্টের জেরে তাদের সামাজিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
নারী সংশোধনাগারে পুরুষদের প্রবেশাধিকার নেই। আদালতবান্ধবের রিপোর্টের সারাংশ প্রকাশ্যে আসার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কীভাবে জেলের অন্দরে বন্দিনীরা অন্তঃসত্ত্বা হলেন?
আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, এই ঘটনা সত্যি হলে কারাকর্মীদের দিকে যেমন অভিযোগের আঙুল উঠতে পারে, তেমনই সংশোধনাগারে বহিরাগত পুরুষদের আনাগোনা ঘটছে কি না, সেই প্রশ্নও আসতে পারে।
যদিও কারা দপ্তরে এক কর্মকর্তার বক্তব্য, জাতীয় নারী কমিশনের প্রতিনিধিদের ওই বন্দিরা জানিয়েছেন, জেলে আসার পরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। জেলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলেও তারা শোনেননি।
তিনি আরও বলেন, ওই রিপোর্ট তৈরির আগে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি বলেও দাবি বন্দিদের। কমিশনের সদস্যরা তাদের বক্তব্য শুনেছেন, কিন্তু কোনো মন্তব্য করেননি।
জেল কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কমিশনের সদস্যেরা কথা বলেন। সংশোধনাগারে জন্ম নেয়া শিশুদের সম্পর্কে তথ্যও সংগ্রহ করেন তারা।
কারা দপ্তরের খবর, জেল পরিদর্শনের সময়ে কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন দপ্তরের স্পেশ্যাল আইজি অজয় ঠাকুর, ডিআইজি (দমদম) গৌতম মণ্ডল এবং ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি) দেবাশিস চক্রবর্তী।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার যান দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। দু ঘণ্টা পরিদর্শনের পরে তারা আসেন আলিপুর নারী সংশোধনাগারে।
কারা দপ্তরের দাবি, গত এক বছরে সংশোধনাগারে ১১টি শিশুর জন্ম হয়েছে। সংশোধনাগারে আসার আগেই ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন।
করোনাকালে এক নারীকে বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। এক বছর দু মাস পরে তিনি সংশোধনাগারে ফেরেন। মুক্ত থাকাকালীন তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। এ ছাড়া অনেক নারী বন্দি সংশোধনাগারে এসেছেন তাদের সন্তানদের নিয়ে। এ দিন জাতীয় নারী কমিশনের সদস্যরা তাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
কারা দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্য নারী কমিশনের প্রতিনিধিরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সংশোধনাগার পরিদর্শন করেন। তবে, সংশোধনাগারে আসার পরে নারীরা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন, এমন কোনো রিপোর্ট তাদের পক্ষে দেয়া হয়নি।


http://dlvr.it/T2gt41

Post a Comment

0 Comments