Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শেষে তিন মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

রাজধানী বেইলি রোডে বহুতল ভবন গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারানো নারী সাংবাদিকসহ তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শেষে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান শনিবার বিকেল ৫টার দিকে মরদেহগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। পরে ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক জাকিয়া তাসনিম (লেকচারার) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
যাদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে তাদের একজন হলেন বৃষ্টি খাতুন বা অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণীর পিতা সাহাবুল আলম ওরফে সবুজ শেখ, বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার বনগ্রাম গ্রামে। তার মাতা বিউটি বেগম।
তিন বোনের মধ্যে বৃষ্টি ছিলেন সবার বড়। তিনি কুষ্টিয়া মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকায় এসে ইডেনে মহিলা কলেজে দর্শন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। পাশাপাশি দ্য রিপোর্ট নামে একটি নিউজ পোর্টালে সাংবাদিক পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
এসআই হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে নারী সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের বাবা সাহাবুল আলম মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। তিনি বলেন- এটা আমার মেয়ের মরদেহ। এর পাশাপাশি সনাতন ধর্মের কয়েকজন দাবি করেন যে নিহত ওই সাংবাদিকের নাম বৃষ্টি খাতুন নয়, তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী।
নাম-পরিচয় নিয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি শুক্রবার রাতে রমনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই মেয়েটি সনাতন ধর্মের। তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সে প্রায় সময় রমনা কালীমন্দিরে পূজো দিত। তার বাড়ি ভারতে।
এসআই হাবিবুর আরও বলেন, বৃষ্টির কপাল ঝলসানো ছিল। গলায় তুলসির মালা ও বাম হাতে লাল সুতা বাঁধা ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। মরদেহ নিয়ে সিদ্ধান্তের বিষয়ে এখন আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
হাবিবুর রহমান জানান, এছাড়া আগুনের ওই ঘটনায় প্রাণ হারানো কে এম মিনহাজ উদ্দিনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার পিতা মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ খান মরদেহ গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরের গাছতলা গ্রামে দাফন করার জন্য নিয়ে যান। ২৬ বছর বয়সী মিনহাজ রাজধানীর বাসাবো খেলার মাঠ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি কম্পিউটার সফটওয়্যারের কাজ করতেন।
ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞতনামা অপর যুবকের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। ২৫ বছর বয়সী এই তরুণের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।


http://dlvr.it/T3Wk0R

Post a Comment

0 Comments