কখনও জেলা প্রশাসক (ডিসি), কখনও পুলিশ সুপার (এসপি), আবার কখনও র্যাবের কমান্ডিং অফিসার (সিও) পরিচয় দিতেন চক্রের সদস্যরা। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন তারা।
কক্সবাজারের চকরিয়া থেকে এমন চক্রের ছয় সদস্যকে সোমবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫ কক্সবাজার।
উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেডের সামনে তাদের আটক করা হয়। পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাদের।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কুতুবদিয়ার নেমসিখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তোরাব উদ্দিন শিকদার, চকরিয়ার খুটাখালী ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার বাদশা, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনারপাড়ার তারেকুর রহমান, একই এলাকার মো. জোবায়ের, এমদাদ উল্ল্যাহ মারুফ ও মিশকাত জান্নাত জুলি।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে জানান, বেশ কিছুদিন ধরে কক্সবাজারে একটি প্রতারক চক্র সক্রিয়। তারা অভিনব কায়দায় কখনও র্যাবের সিও, কখনও জেলার এসপি, ডিসি, এসপিসহ নানাবিধ পেশার ভুয়া পরিচয় দিয়ে বিপদাপন্ন মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। কমপক্ষে দশের বেশি ভুক্তভোগী প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে এ বিষয়ে র্যাবের কাছে প্রতিকার চান।
তিনি আরও জানান, র্যাব-১৫-এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ লিমিটেডের সামনে অভিযান চালিয়ে প্রতারকের চক্রের হোতাসহ ছয়জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
ওই ছয়জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, তারা বিভিন্ন সময়ে ভুয়া পরিচয়ে বিপদাপন্ন মানুষদের কল করে বন্দিকে খালাস বা জামিন করিয়ে দেয়ার প্রস্তাব দেন। এর বিনিময়ে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দাবি করতেন। এভাবে গত দুই থেকে তিন বছরে কমপক্ষে অর্ধশত মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
http://dlvr.it/T3gfZZ
0 Comments