পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় মাহফিলের পোস্টারে নাম না রাখা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মোশারেফ মুন্সী (৪০)। তিনি দুমকি উপজেলার পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান।
ওসি জানান, গত ২৬ এপ্রিল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পূর্ব কার্তিক পাশা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মোশারেফসহ ১০ জন আহত হয়েছিলেন।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় মোশারেফ মুন্সীর ভাই সুলতান মুন্সী এবং অপরপক্ষে নেসার উদ্দিন বাদী হয়ে ২৯ এপ্রিল দুমকি থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেন, যা বর্তমানে তদান্তধীন আছে বলে জানান ওসি।
তিনি জানান, পূর্ব কার্তিক গ্রামের কারিমিয়া মাদ্রাসা মাঠে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল কমিটিতে এবং মাহফিলের প্রচারের জন্য সাটানো পোস্টারে স্থানীয় সোবাহান মুন্সীর নাম না রাখায় মাহফিল কমিটি ও মুন্সী বাড়ির লোকদের মধ্যে সংঘর্ষে মোশারেফ মুন্সীসহ ১০ জন আহত হন।
ওসি জানান, আহতদেরকে প্রথমে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখান থেকে মোশারেফ মুন্সীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার রাতে মোশারেফ মুন্সি মারা যান।
নিহত মোশারেফ মুন্সীর ভাই সুলতান মুন্সী বলেন, আমার ভাইকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
http://dlvr.it/T6Zdvc
0 Comments