Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা, দুর্ভোগ চরমে

নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার বর্জ্য ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও পর্যাপ্ত ডাস্টবিন নেই। তাই পৌর এলাকার বাজারের বর্জ্য খালে ফেলে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে। এতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বাড়ছে মশা মাছির উপদ্রব। বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
তবে সোনাইমুড়ী পৌরসভার মেয়র নুরুল হক চৌধুরী জানান, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ডাম্পিং সেন্টার নির্মাণ হচ্ছে। পৌরশহরের বাজারে কোনো বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট স্থান নেই।
সরেজমিনে জানা যায়, সোনাইমুড়ি পৌরসভায় বর্তমানে ৯ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, একজন সুপারভাইজার, ময়লা পরিষ্কারের জন্য ২টি ট্রাক, ৮টি ভ্যান রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসেবে খ্যাত সোনাইমুড়ী পৌরসভা, কিন্তু যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলায় পৌরসভা এলাকা যেন ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
নোয়াখালী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশেই শিমুলিয়া নামক স্থানে বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের এখানে ময়লা ফেলতে দেখা যায়। দুর্গন্ধে নাকে কাপড় চেপে পথচারীদের পার হতে হয় এলাকা। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পৌর এলাকার বাসিন্দারা।
শিমুলিয়ায় যে রাস্তার পাশে ময়লা ফেলা হচ্ছে, এর পাশে রয়েছে সোনাইমুড়ী মডেল মসজিদ ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।
শিমুলিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা ও আবু হানিফ নামের একজন দোকানি জানান, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এখানে ময়লা ফেলায় বসবাস করা ও দোকানদারি করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সোনাইমুড়ী মডেল মসজিদের কয়েকজন মুসল্লী জানান, বিভিন্ন সময় এ ময়লাগুলা ধ্বংসের জন্য আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সে সময় ধোয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। মুসল্লিদের নামাজরত অবস্থায় দম বন্ধের উপক্রম হয়।
এ ছাড়া ভাগাড়ের আশপাশে ১৫টি পরিবারের বসবাস। তারাও থাকেন দুর্ভোগের কথা।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলার একমাত্র সোনাইমুড়ী পৌরসভাটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি পূর্বে সোনাইমুড়ী ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিতি ছিল। পৌরসভার দ্বিতীয় মেয়র নির্বাচিত হন নুরুল হক চৌধুরী। তিনি ২০২১ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।


http://dlvr.it/T6d4Ct

Post a Comment

0 Comments