পাসের হার ও জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির হারে ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা এ বছরও দেশের শীর্ষস্থানে রয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল অনুযায়ী, এ মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় সাধারণ বিভাগে ২৫১ জন ও বিজ্ঞান বিভাগেন ১৪৯ জন সর্বমোট ৪০০ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে। যাদের মধ্যে ২৪৪ জন (জিপিএ৫), ১৪৫ জন এ গ্রেড এবং বাকিরা সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি গাজী মো. শহিদুল ইসলাম রোববার দুপুরে ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় জিপিএ ফাইভ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে মাদ্রাসার ক্যাম্পাসে থাকা ছাত্ররা। ভালো ফলাফলের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরীক্ষার্থীরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি গাজী মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসাটি ইতোমধ্যেই দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপলাভ করেছে। ফলাফলে প্রতি বছরই মাদ্রাসাটি এগিয়ে থাকে। এ বছরও দেশ সেরা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে এ মাদ্রাসায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। অনার্স ও মাস্টার্সসহ দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল পরীক্ষায় দেশের সেরা হয়ে গৌরব অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি বলেন, মুসলিম ঐক্যের প্রতীক আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহাম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুরের বলিষ্ঠ পৃষ্ঠপোষকতা, দলীয় রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ, সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ক্লাসটেস্ট, দুর্বল ছাত্রদের জন্য বছরের বিভিন্ন সময় ফিডব্যাক ক্লাস, অভিভাবকদের সম্মেলনসহ শিক্ষা সহায়ক কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়ন, আবাসিক ছাত্রদের জন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও টিউটর দ্বারা আবাসিক ক্লাস ও সময়োপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই গৌরবোজ্জ্বল ফলাফল লাভ করছে।
তিনি এ প্রতিষ্ঠানটির উন্নতির জন্য শিক্ষক ও অভিভাবকসহ সর্বমহলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
http://dlvr.it/T6mF0d
0 Comments