Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সেন্টমার্টিনের পথে পণ্যবাহী জাহাজ

চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেলসহ নানা ধরনের ভোগ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করেছে এমভি বারো আউলিয়া নামের একটি জাহাজ।

কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে শুক্রবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

জাহাজটিতে দেড় শতাধিক মানুষ, সরকারি সহায়তার খাদ্যপণ্য এবং পাঁচটি কোরবানির গরু ছিল।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজটি পাঠানো হয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগর দিয়ে টেকনাফ হয়ে ঘোলারচর দিয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে।

পণ্যসামগ্রীর পাশাপাশি কক্সবাজারে আটকে পড়া সেন্টমার্টিনের অনেক বাসিন্দাও এ জাহাজে করে ফিরছেন।

বিআইডব্লিউটিএর ঘাটে শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, এমভি বারো আউলিয়া নামের জাহাজে তোলা হয় চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ নানা ধরনের ভোগ্যপণ্য। একই সঙ্গে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারাও জড়ো হন নিজ এলাকায় ফেরার জন্য।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ডের নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফ পৌঁছান। ওই সময় টেকনাফ থেকে চারটি ট্রলারে করে তিন শতাধিক মানুষ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চারটি ট্রলার লোকজন নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। সেখান থেকে অন্তত দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফে ফিরে আসেন। ওই সময় বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করেছিলেন।

মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে বারবার গুলি ছোঁড়া হয়। এ ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার থেকে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়।


http://dlvr.it/T8Gg72

Post a Comment

0 Comments