Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নবজাতককে নয় তলা থেকে ফেলে হত্যা করেন মা: পুলিশ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক মা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার সাত দিনের নবজাতককে নয় তলায় ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কমলপুর নিউ টাউন ফুল মিয়া সিটি এলাকায় একটি নয় তলা ভবনের নিচে ঝোপ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার মধ্যরাতে শিশুটি বাসা থেকে নিখোঁজ হয় বলে জানায় পরিবার।
প্রাণ হারানো সাত দিন বয়সী শিশুটির নাম তাসনিদ এহসান। তার বাবা উসমান গনি স্থানীয় সেন্ট্রাল হাসপাতালের মালিক ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক।
ভৈরব থানা ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নিজ হাতেই নবজাতক সন্তানকে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে নবজাতকের মা তৃশা আক্তার ৯ তলার বেলকনির জানালা দিয়ে শিশুটিকে ছুড়ে ফেলে হত্যা করে।
স্ত্রীকে আসামি করে মামলা করেছেন নবজাতকের পিতা চিকিৎসক উসমান গনি। বিল্ডিং থেকে পড়েই নবজাতকটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তৃশা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে হত্যার আরও কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে।
শিশুটির নিখোঁজের বিষয়ে স্বজনরা জানান, সোমবার রাতে শিশুকে নিয়ে ঘুমিয়েছিলেন মা। বাবা ঘুমিয়ে ছিলেন আরেক রুমে। ঘরে শিলা ও মিম নামে দুইজন গৃহকর্মীও ছিলেন। এ ছাড়াও সুমাইয়া নামের একজন নারী ছিলেন। তিনি শিশুটির মায়ের বান্ধবী। রাত তিনটার দিকে মা বিছানা থেকে উঠে দেখেন বাচ্চাটি নিখোঁজ। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তাৎক্ষণিক ভৈরব থানায় অভিযোগ দেয় নিখোঁজ শিশুটির পরিবার।
তারা আরও জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে গৃহকর্মীর মাধ্যমে জানা যায় শিশুটিকে বাড়ির পাশে একটি ঝোপ মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় দুই গৃহকর্মী, নবজাতকের মা ও তার বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নিয়ে যায় পুলিশ।
এ দিকে স্থানীয়রা জানান, ডা. উসমান গনির দ্বিতীয় স্ত্রী তৃশা। তাদের পরিবারে দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সাত দিন আগে ডা. উসমান গনির মাধ্যমে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতকের জন্ম হয়। প্রায় সময় তাদের বাসা থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ পাওয়া যেত।
নিহত শিশুর মা ওই দিন জানান, মধ্যরাতে কে বা কারা তার শিশু সন্তানটিকে নিয়ে গেছে তিনি জানেন না। তিনি বাথরুমে গেলে ১৫ মিনিট পর ফিরে সন্তানকে বিছানায় পাননি তিনি।
এ বিষয়ে বিল্ডিংয়ের কেয়ার টেকার আফজাল জানান, ভোর ৫টার দিকে ডা. উসমান গনি জানান তাদের সন্তান কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেছে। পরে কাজের মেয়ে জানায় যে বিল্ডিংয়ের অদূরে একটি ঝোপে বাচ্চাটি পড়ে আছে।
ওই সময় ভৈরব থানা ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার বিষয়টি রহস্যজনক। শিশুটির মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিল্ডিং থেকে ফেলা হয়েছে কি না বা মেরে ফেলে রাখা হয়েছে কি না তা বলা যাচ্ছে না।


http://dlvr.it/T8StZx

Post a Comment

0 Comments