ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিস্তা নদীর খনন কাজ করা দরকার বক্তব্যের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতে রাজনৈতিক দল এবং কেন্দ্র ও রাজ্যের মতবিরোধকে তিনি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকই বলেছেন, কারণ নদীর নাব্যতা না থাকলে পানির অপর্যাপ্ততায় নদী পাড়ের মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বাংলাদেশকে তিস্তার পানি দেয়া সম্ভব নয় জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি দেয়া কেও ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ভারত সফরকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে ছিলেন না। তিনি থাকলে আমি তার সঙ্গে আলোচনা করতাম। তার মোবাইল নম্বর ছিল, তিনি নাকি এখন মোবাইল ব্যবহার করেন না। তাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।
সরকারপ্রধান বলেন, তিস্তা ও গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যদি ২০২৬ সালে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি নবায়ন না হয়, তাহলে আগের চুক্তিই অব্যাহত থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন, তিস্তা একটি বড় প্রকল্প। সেটি নিয়ে আলোচনার জন্য ভারতের কারিগরি দল আসবে। আমরা ভারতের সহযোগিতায় তিস্তা প্রকল্প করবো। সেই বিষয়ে নয়াদিল্লি আমাদের আশ্বাস দিয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লি যান।লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
এ ছাড়াও, এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর, তিনি ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
http://dlvr.it/T8kRSd
0 Comments