ফিলিস্তিনের গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধে থাকা ইসরায়েলের পণ্য বয়কটের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাব নামের সংগঠনের সদস্যরা।
জেলা শহরের মুক্তির মোড়ে শনিবার বেলা ১১টার দিকে এ মানববন্ধন শুরু হয়।
নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবী ও নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচিতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করে বিকল্প দেশীয় পণ্য ব্যবহারের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী নাকিব আল হাসান বলেন, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে আপনারা ফিলিস্তিনে দেখছেন ছোট্ট শিশুর চূর্ণবিচূর্ণ মাথার খুলি হাতে নিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা মাকে। আপনারা শুনেছেন গর্ভবতী মায়ের পেটের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া ট্যাংকের গর্জন। ১৯৪৮ সালে প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে ঘর ছাড়া করা হয়, যা ছিল ফিলিস্তিনের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক।
১৯৬৭তে দুই লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি শরণার্থীতে পরিণত হয়। ১৯৮২, ২০০৮, ২০২৩ মোটাদাগে নিয়মিতভাবেই ক্রাইম করে আসছে ইসরায়েলি জালেমরা। ইসরায়েলি অপারেশন শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে জাতিসংঘের অনুমান অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। আরও ১০ হাজার নিখোঁজ এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে বলে ধারণা করা হয়।
স্ট্রিপের (গাজা উপত্যকা) ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার প্রায় পুরোটাই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ রকম নির্মম ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ইসরায়েলকে সর্বাত্মক বয়কট করা এখন সময়ের দাবি।
নওগাঁ ইয়ুথ ক্লাবের সদস্য মো. নাহিদ হাসান বলেন, ইসরাইলে অবৈধ দখলদার জায়োনিস্টদের বসতি গড়ার পেছনে ব্রিটেনের হাত ছিল। আর এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে ফিলিস্তিনে চালানো হচ্ছে গণহত্যা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৪ সাল থেকে ইসরায়েলের আলোচিত আয়রন ডোমেরও (আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা) উৎপাদন অংশীদার ছিল।
মার্কিন সরকারের সেই সুপরিচিত বিবৃতির কথা তো আমরা জানি যে, ইসরায়েল হ্যাজ দ্য রাইট টু ডিফেন্ড ইটসেলফ। হ্যাঁ, আমরাও অবশ্যই একমত, কিন্তু ইসরায়েল তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর যা করে আসছে, তা কখনোই ডিফেন্সের মধ্যে পড়ে না; বরং তা নির্মম গণহত্যা।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর মুক্তিকামী মজলুম জনতার পক্ষে, সকল জালেমের বিরুদ্ধে আমরা বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য থেকে সকল ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করে দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
http://dlvr.it/T8wtnd
0 Comments