বিএনপি নেতারা কূটনৈতিক ভাষা জানেন না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপি কূটনৈতিক ভাষা জানে না বলে দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, পড়াশোনা করেন না? ডিপ্লোমেসির ভাষা জানেন না? জেনে নিন- সমঝোতা স্মারক আর চুক্তি এক কথা নয়।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ এই সভার আয়োজন করে
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে কোনো চুক্তি হয়নি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মালয়েশিয়ার সঙ্গে পদ্মা সেতুর নির্মাণে সমঝোতা স্মারক করেছি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পদ্মা সেতু নিজেদের টাকায় করেছি। আমরা যদি চুক্তি করতাম তাহলে বাধ্য হতাম পদ্মা সেতু নির্মাণের দায়িত্ব তাদের দিতে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। মির্জা ফখরুলের মনে অশান্তির আগুন। গত রাতে লন্ডন থেকে ফরমান এসেছে। অমুক আউট, অমুক ইন। এখন ইন-আউট চলছে বিএনপিতে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনে এখন অবিশ্বাস। বিএনপিতে একজন আরেকজনকে বলে সরকারের এজেন্ট। আন্দোলন তাহলে কারা করবে? বিএনপির কর্মসূচি ভুয়া।
তিনি বলেন, সব নাকি ইন্ডিয়া হয়ে গেছে। গেল রে গেল, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব গেল! ৫৩ বছর স্বাধীনতা নিয়ে আমরা টিকে আছি। কোথায় যাবো? ভারত আমাদের বন্ধু আর তোমরা ভারতের দাসত্ব চেয়েছিলে।
নরেন্দ্র মোদি যখন ক্ষমতায় আসেন তখন বিএনপির নেতারা সকালে মিষ্টি আর ফুল নিয়ে হাজির। এই হচ্ছে বিএনপি। তারা এখন ভারতের বিরোধিতা করে। তারা ওয়াশিংটনে ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির অঙ্গীকার করে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি প্রশ্ন করেন, সাড়ে তিন হাজার পিস জামদানি শাড়ি নিয়ে নতুন দিল্লিতে কারা গিয়েছিল? নয়াদিল্লিতে লালগালিচার সংবর্ধনা নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে ফিরে এলেন। বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করল, গঙ্গা চুক্তির কী হলো? খালেদা জিয়া বললেন, আমি তো গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলেই গেছি।
আপনারা সবকিছুই ভুলে যান। এই গঙ্গা চুক্তি বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা করেছেন। বন্ধুত্ব থাকলে অবিশ্বাস থাকে না। বন্ধুত্ব থাকলে সন্দেহ থাকে না। বন্ধুত্ব আছে বলেই আমরা তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি নিয়ে আলোচনার অনেকটা অগ্রগতি সাধন করেছি। বন্ধুত্ব আছে বলেই সমুদ্রসীমায় আমরা আরেকটি বাংলাদেশ পেয়েছি। বন্ধুত্ব আছে বলেই আমরা ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা সমাধানে চুক্তি করতে পেরেছি।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম আতিক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি।


http://dlvr.it/T91Brv