Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মধ্যরাতে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কেন

চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সমন্বয়ক প্যানেলের একজনকে হল থেকে বের করে দেয়ার খবরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অমর একুশে হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের কয়েক শ শিক্ষার্থী।
পরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে হল প্রাধ্যক্ষ এসে সেই শিক্ষার্থীকে হলে তুলে নেন।
যাকে ঘিরে এ ঘটনা তার নাম সারজিস আলম, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি থাকেন অমর একুশে হলে। তিনি চলমান আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক।
গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর রটে, সারজিস আলমকে হল থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। এর আগে রাত সাড়ে আটটার দিকে ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী শীর্ষ পদপ্রত্যাশীরা তাকে হল ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে কল করা হলে সারজিস আলম নিউজবাংলাকে বলেন, আমি অমর একুশে হলের রফিক ভবনের ২০৪ নম্বর রুমে থাকি। হল ছাত্রলীগে সাদ্দাম (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি) ভাইয়ের যারা ক্যান্ডিডেট (আসন্ন হল সম্মেলনে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী) তারা অনেকেই আমার ছোট ভাই।
রাতের দিকে তাদের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়, তাদের কাছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্দেশনা এসেছে, আমি যেহেতু কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক প্যানেলের একজন, তাই আমাকে যেন হল থেকে বের করে দেয়া হয় এবং আমাকে বের করে সেটি হাই কমান্ডকে জানাতেও নাকি তাদের বলা হয়েছে। পরে তারা আমাকে তাদের অপারগতার কথা জানিয়ে আমাকে হল থেকে চলে যেতে বলেন।
শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে কারা এ কথা বলেছে, সেটি জানতে চাইলে তিনি মীম নামের একজনের নাম বলে পরে আর নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে সারজিসকে হল থেকে বের করে দেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাত ১২টার দিকে অমর একুশে হলের একদল শিক্ষার্থী হল গেটে জড়ো হন।
ওই শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা সারজিস আলমকে হল থেকে চলে যেতে দেবেন না। তাদের আশঙ্কা, আন্দোলনকারী একজনকেও যদি হল থেকে বের করে দেয়া হয়, তাহলে বাকিদেরও ধীরে ধীরে বের করে দেয়া হতে পারে।
সে সময় সারজিস আলম তার ব্যাগ নিয়ে কক্ষ থেকে হল গেটে চলে এলে শিক্ষার্থীরা তাকে চলে যেতে বাধা দেন এবং হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসতিয়াক এম সৈয়দকে ফোন দেয়া হলে তিনি সারজিসকে হলেই থাকতে বলেন।
এরপরও সারজিস তার ব্যাগ নিয়ে হল থেকে বের হয়ে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীরা হলের সামনের রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করেন। ততক্ষণে আশেপাশের বিভিন্ন হল থেকে আরও কয়েক শ শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বেশ কিছু সময়ের জন্য হলের সামনের রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অবস্থানের মধ্যে হল প্রাধ্যক্ষ, কয়েকজন হাউস টিউটর এবং হল ছাত্রলীগের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন উপস্থিত হলে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলেন সারজিস আলম।
সে সময় তিনি বলেন, একটু আগে ছাত্রলীগের হাই কমান্ড থেকে আমাকে ফোন দেয়া হয় এবং জানতে চাওয়া হয় তাদের নাম বলে কে আমাকে হল থেকে চলে যেতে বলেছে। আমি সেই ক্যান্ডিডেটদের নাম বললে পরে জানতে পারি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের হাইকমান্ড এ রকম কোনো নির্দেশনা দেয়নি। হাইকমান্ড নির্দেশ দিয়েছেএই ভুল তথ্য দিয়ে আমাকে হল থেকে বের কর ক্রেডিট নিতে চেয়েছে এই পদপ্রত্যাশীরা।
আবারও এসব পদপ্রত্যাশীর নাম জানতে চাওয়া হলে সারজিস আলম বলেন, তারা আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং অনুশোচনা প্রকাশ করেছে। তাই আমি তাদের নাম আপাতত বলছি না।
এরপর রাত একটার দিকে সারজিস আলম হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে নিজের কক্ষে চলে যান। পরে শিক্ষার্থীরাও নিজেদের হলে ফিরে যান।


http://dlvr.it/T99m0h

Post a Comment

0 Comments