Ticker

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

সোনালী লাইফের পাঁচ নির্বাহীকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টে স্থগিত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পাঁচ শীর্ষ নির্বাহীকে বরখাস্তের নির্দেশনা স্থগিত করেছে উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে কোম্পানির বর্তমান প্রশাসক, আইডিআরএ চেয়ারম্যান ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে তাদের বরখাস্তের আদেশ বাতিল কেন স্থায়ীভাবে হবে না তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের ডিভিশন বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
এর আগে চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল অনিয়ম, দুর্নীতি ও পারিবারিক দ্বন্দ্বের অভিযোগ এনে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে প্রশাসক নিয়োগ করে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। একইসঙ্গে ভেঙে দেয়া হয় তখনকার পরিচালনা পর্ষদ। প্রশাসক হিসেবে সে সময় নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌস।
তবে তারপরও সোনালী লাইফে সমস্যার সমাধান হয়নি। নতুন প্রশাসকের বিরুদ্ধে একের পর অভিযোগ আনেন সোনালী ইন্স্যুরেন্সের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ৭ জুলাই নতুন প্রশাসক কোম্পানির শীর্ষ পাঁচ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার নির্দেশনা দেন। সেই তালিকায় ছিলেন অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল কাফী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আজিম ও সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদ।
তবে তাদের বরখাস্তের প্রক্রিয়াটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সোনালী লাইফের এই পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তা। রোববার ওই নির্দেশনা স্থগিত করে আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
এদিকে সোনালী লাইফে টানা পঞ্চম দিনের মতো চলছে আন্দোলন ও কর্মবিরতি। বরখাস্তকৃত কর্মকর্তাদের পুনরায় নিয়োগসহ আটটি দাবি নিয়ে কঠোর আন্দোলন চলছে রাজধানীর মালিবাগে কোম্পানিটির প্রধান অফিসে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, অনিয়ম বন্ধের কথা বলে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হলেও তিনি নিজেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন।
সোনালী লাইফের সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমদাদুল হক সাহিল অভিযোগ করেন, নতুন করে আরও বহিষ্কারের তালিকা তৈরি করেছেন প্রশাসক। তিনি জানান, শীর্ষ ওই পাঁচ কর্মকর্তার পর আরও ১৩ জনকে ছাঁটাই করেছেন প্রশাসক।
এসব অভিযোগের বিষয়ে কোম্পানির প্রশাসক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফেরদৌসের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সত্য নয়।
এদিকে এমন কর্মবিরতি আর নানা সংবাদ দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সোনালী ইন্স্যুরেন্সের অনেক গ্রাহক। অনেকেই প্রধান শাখায় এসে কর্মীদের কাছে জানতে চাচ্ছেন তাদের ইন্স্যুরেন্স পলিসির পরিস্থিতি নিয়ে।
উপরন্তু নতুন করে যারা ইন্স্যুরেন্স করতে আসছেন তারা সেবা পাচ্ছেন না বলেও জানান আন্দোলনকারী কর্মীরা।


http://dlvr.it/T9ZgK4

Post a Comment

0 Comments