সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়টি আদালত সংশ্লিষ্ট বলে রোববার মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এটি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা সময় নষ্ট করছে। এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার গণভবনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা বাতিল করার আন্দোলন করছে। যারা এর আগে আন্দোলন করেছিল, তারা আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় কত পাস করত, এখন কত করছে?
এটা সাবজুডিস ম্যাটার (বিচারাধীন বিষয়), আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা সময় নষ্ট করছে। এ আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় হাইকোর্টের রায় মেনে নিই, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, কোটাবিরোধী আরেকটি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে, সেখানে মেয়েরাও আন্দোলন করে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনীতিবিদসহ সবার সার্বজনীন পেনশন স্কিমে যুক্ত হওয়া দরকার। বিএনপি সমাজের বোঝা। তাদের সন্ত্রাসী চেহারা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। বিএনপি-জামায়াত যেন আর ক্ষমতায় ফিরতে না পারে, সে জন্য মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশকে একটি উচ্চ আসনে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে।
বিএনপি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। দেশের মানুষ ভোটচোরদের ক্ষমতায় থাকতে দেয় না। ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে দুইবার পদত্যাগ করতে হয়েছে।
অনুষ্ঠানে যুব মহিলা লীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
নারীর ক্ষমতা ও অগ্রগতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামে যুব মহিলা লীগ সব সময় ভূমিকা পালন করেছে। দেশের মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করেছে সংগঠনটি।
http://dlvr.it/T9GJgT
0 Comments